Type to search

কঠোর নিষেধাজ্ঞায় এফডিসি এখনো বন্ধ

বিনোদন

কঠোর নিষেধাজ্ঞায় এফডিসি এখনো বন্ধ

অপরাজেয়বাংলা ডেক্স: ঈদের পর থেকে চলাচলে কঠোর নিষেধাজ্ঞা থাকায় অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মতো এফডিসিও বন্ধ রয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে রয়েছে প্রযোজক, পরিচালক, শিল্পী, চিত্রগ্রাহকসহ চলচ্চিত্রের ১৮টি সংগঠনের কার্যালয়। সেই সুবাদে কোনো ছবির শুটিং না থাকলেও এফডিসি থাকতো লোকারণ্য। সাংগাঠনিক তৎপরতা থাকতো উজ্জীবিত। এখন সব বন্ধ। একাধিক প্রযোজক এবং শিল্পীসহ কেউ কেউ কোরবানি করতেন এফডিসিতে। এর মাংস বিতরণ হতো কোরবানি দিতে সমর্থ নন এমন শিল্পী-কলাকুশলীর মধ্যে। কিন্তু এফডিসি থেকে সেটা করা যায়নি।

চিত্রকর্মীদের সকল কাজই এফডিসি কেন্দ্রিক। এফডিসি বন্ধ থাকার কারণে তাদের সকল কাজে ছন্দপতন হয়েছে। এখান থেকেই দৈনিক মজুরিতে যারা কাজ করেন, তারা কাজ খুঁজে নিতেন। ইদানিং তারা সেভাবে তাদের কাজও খুঁজে নিতে পারছেন না। বন্ধ এফডিসির বাইরের চা দোকানগুলোতে তাই এখন চিত্রকর্মীদের উপস্থিতি বিশেষভাবে লক্ষ্যণীয়। একজন জুনিয়র শিল্পী বললেন, ‘এফডিসি বন্ধ থাকায় আমরা এতিম হয়ে গেছি। এফডিসি আমাদের অভিভাবক।

এফডিসি বন্ধ থাকলে মনে হয় আমরা অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছি।’ এছাড়া পরিচালকদের কাউকে কাউকে এখন মগবাজার মোড় সংলগ্ন মুক্তিযোদ্ধা গলির মুখের চা দোকানে প্রায় প্রতিদিন সন্ধ্যায়ই আসতে দেখা যায়। ক’দিন আগে সেখানে দেখা গেল পরিচালক এস এ হক অলীক, বন্ধন বিশ্বাস, অভিনেতা নিরবসহ আরো কয়েকজনকে। আশপাশে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান রয়েছে, এমন প্রতিষ্ঠানের কর্ণধারেরাও সেখানেই জমায়েত হন। তারা অনেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছেন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হলেই কাজ শুরু করবেন।

কোনো কোনো প্রযোজক ও পরিচালক প্রি-প্রোডাকশনের কাজ সম্পন্ন করছেন। অনুদানের বেশ কিছু ছবির কাজ শুরু হবে সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর নাগাদ। এখানে যে সমস্যাটি এখন প্রকট হয়ে উঠেছে, পরিস্থিতিগত কারণে প্রযোজকরা লগ্নী করতে চাইছেন না। পরিচালক বিশাল আহমেদ ও মেহেদী হাসান সব কিছু প্রস্তুত রেখেছেন। শুটিং ডেট পাকা করেও তারা যেতে পারেননি। তাদেরকে এখন আবার শিডিউল সাজাতে হবে নতুন করে।সূত্র,আমাদের সময়.কম