Type to search

এতো উন্নয়নের পরেও কিছু লোকের মুখে সমালোচনা শুনি: প্রধানমন্ত্রী

জাতীয়

এতো উন্নয়নের পরেও কিছু লোকের মুখে সমালোচনা শুনি: প্রধানমন্ত্রী

অপরাজেয়বাংলা ডেক্স

শেখ হাসিনা আরও বলেন, স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের উন্নয়নে অনেক পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। কিন্তু সেটার প্রচার পায়নি। পঁচাত্তর পরবর্তী সামরিক শাসকেরা উন্নয়ন না করলেও ব্যাপক প্রচার পেয়েছিলো। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পর বারবার ক্ষমতা বদল, হত্যা, ক্যু, ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে একের পর এক ১৯টি ক্যু হয়েছে দেশে। ক্ষমতা সেনানিবাসে সামরিক শাসকদের হাতে, ডাইরেক্টলি বা ইনডাইরেক্টলি। ক্ষমতাকে তারা ভোগের বস্তু বানিয়েছে। কিছু চাটুকারের দল, তোষামোদি-খোশামোদি সৃষ্টি করে তাদেরকে নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করেছে। দেশ ও মানুষের কল্যাণে তাদের কোনো অবদান ছিলো না।

রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ৭৭৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম ৫টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে বিদ্যুৎ গ্রাহক ৪ কোটি ৯ লাখ। এখন অনেকেই অর্থশালী ও সম্পদশালী হয়েছেন। আপনারা বিল দেবেন। বিদ্যুৎ ব্যবহার করবেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, যে বিদ্যুৎ উৎপানের খরচটা অনেক বেশি। গ্রাহক সেবা দেয়ার জন্য ব্যাপকহারে ভর্তুকি দিচ্ছি। অনেক কম টাকা বিল নেওয়া হয়। আমি জানি গণভবন সরকারি। এখানকার নিয়ম হচ্ছে সব জ্বালিয়ে রাখা। কিন্তু আমি যতোটুকু জায়গায় থাকি, সেটার সাশ্রয়টা সঠিকভাবে করে রাখি, অভ্যাসটা ঠিক রাখি। চিরদিনই কেউ প্রধানমন্ত্রী থাকে না। এটাতো পাঁচ বছরের জন্য। এরপর আর থাকবো না। তখনতো নিজের মতোই চলতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ চালিত মেট্রোরেল চালু হবে। পর্যায়ক্রমে আমরা বিদ্যুৎচালিত বাসের ব্যবস্থা করতে পারবো। বিদ্যুৎচালিত গাড়ি হয়তো দেশেই উৎপাদন করতে পারবো। রেলকে ধীরে ধীরে বিদ্যুতে নিয়ে আসবো। এরকম অনেক পরিকল্পনা ভবিষ্যতের জন্য রয়েছে।

তিনি বলেন, একটাই লক্ষ্য দেশের গ্রামে গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছাক। একমাত্র বিদ্যুৎ দিলেই কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। যোগাযোগ ব্যবস্থা ও বিদ্যুৎ পেলে মানুষ নিজের কর্মসংস্থান করতে পারে। বিদ্যুৎ যদি সারা বাংলাদেশে না পৌঁছাতে পারি, তাহলে ডিজিটাল বাংলাদেশ করতে পারবো না। বিএনপি-জামায়াত সরকারের চাঁপাইনবাবগঞ্জের কানসাটে মানুষ বিদ্যুতের জন্য আন্দোলন করলে তাদের গুলি করে হত্যা করা হয়। এটা অবশ্য তাদের চরিত্র। সারের দাবিতে আন্দোলন করায় ১৮ জন কৃষককে হত্যা করেছিলো।

 শেখ হাসিনা বলেন, করোনা টিকা দিচ্ছি। কেউ বাদ যাবে না, সেই ব্যবস্থা নিচ্ছি। টিকা নেওয়ার পরেও করোনা দেখা দেয়। লক্ষণ দেখা দেয় না। নিজে হয়তো বুঝতে পারছেন না, কিন্তু অন্যকে সংক্রমিত করে দিচ্ছেন। সেক্ষেত্রে সবাইকে সচেতন হতে হবে। স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে চলতে হবে।

পাঁচটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মধ্যে সরকারি হলো হবিগঞ্জের বিবিয়ানা-৩৪০০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্র, বাগেরহাটে মধুমতী ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং সিলেটের ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ১৫০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্রে উত্তরণ। আর বেসরকারি জুলদা চট্টগ্রাম ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র ইউনিট-২ এবং নারায়ণগঞ্জে মেঘনা ঘাট ১০৪ মেগাওয়াট পাওয়ার প্ল্যান্ট।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহি চৌধুরী বীর বিক্রম, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, সচিব মো. হাবিবুর রহমান। এতে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ওয়াসেকা আয়েশা খান, গণভবন থেকে অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস।আমাদের সময়.কম

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *