Type to search

আর কত দেনা হবো.. -বিলাল মাহিনী

অন্যান্য

আর কত দেনা হবো.. -বিলাল মাহিনী

দেনার যাতায় পিষে চিড়ে চ্যাপ্টা হয়ে গেছে তেজপাতা মার্কা জীবনটা,
জানি না, আর কতো দেনা হবো-
-ঝালওয়ালার দোকানে আলু
পেয়াজ রসুনের দেনা
সবজিওয়ালাও আর
বাকি দিতে চায় না।
চাল ডাল নুন তেল সবাই বাকিতে
দেনার খাতা সব ভরছে লেখাতে
মুদিওয়ালী চেয়ে থাকে
কবে পাবো বিল,
কি করি বলো তুমি,
বন্ধ অফিস মিল।
মাইনেতে এখন আর চলে না সংসার
দেনায় জর্জরিত পুরুষ
করে হাহাকার।
গাড়ির মবিল তেল দেনায় কেনা
বৌ তবু শাড়ি চায় মানে না দেনা।
ওষুধের দোকানীকে এড়িয়ে চলি
পকেটটা খালি তারে ক্যামনে বলি।
কাপড়-চোপড় গায়নার দোকানে
হালখাতা লেগেই থাকে
সব শপেতে
ওরা এখন বছরে একাধিক হালখাতা করে
বেটা দেনাদার শুধু শোধ করে মরে।
গ্যাস-বিদ্যুতের বিল দিতে দেনায় পড়তে হয়,
টেনেটুনে যায় দিন
জীবনটা হয় ক্ষয়।
শৈশবে দাদু-দীদা কইতো,
পরে মায়েও বইলতো-
এট্টা লাল টুকটুকে বৌ এনে দেবো
সুখের সংসার করিস!
এরপর সংসার শুরু হলো,
তাও দেনা দিয়েই, মানে– বিয়েটাও দেনায়!
লক্ষ টাকার দেনাদার হয়ে
ধুমধামে অনুষ্ঠান হলো
ঘরে বৌ এলো, কিন্তু দেনা রয়ে গেলো!
সেই যে দেনা নামক শুক্রাণু-ডিম্বানুর মিলন হলো
যুগ পেরিয়ে এখন তা শৈশবে
বয়স বাড়ছে, দেনাও বাড়ছে।
কবি বলেছেন,
সংসার জীবন কেউ কোরো না গ্রহণ
জীবনের বাঁকে বাঁকে শুধুই দহন।
বৌ-সংসার ছেলেপুলে দিল্লিকা লাড্ডুর মতো,
খাইলেও পচতাইবেন, না খাইলেও পচতাইবেন।
শুধু আমি জানি জীবন মানে
অধৈ অনাবৃষ্টি
আরও জানি দেনায় পড়লে
স্বপ্নহীন হয় দৃষ্টি।
বিলাল মাহিনী
২০/০৬/২২

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *