প্রত্যক্ষদর্শী ও গ্রামবাসী সূত্রে জানা যায়, সকালে রহমত আলীর বাড়ির আঙিনায় গন্ধগোকুলকে দেখে স্থানীয় লোকজন আদমখোড় এসেছে বলে চিৎকার শুরু করে। কবর থেকে লাশ তুলে খায় এমন গুজব ছড়িয়ে পড়লে কয়েকশ’ মানুষ লাঠিসোটা নিয়ে গন্ধগোকুলটিকে তাড়া করলে প্রাণভয়ে সেটি পানিতে পড়ে যায়। পরে গন্ধগোকুলটিকে পিটিয়ে মেরে একটি গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়।
স্থানীয় চিকিৎসক খায়রুল ইসলাম বলেন, “গ্রামের মানুষ অসচেতনতার কারণে বিলুপ্ত প্রায় এ প্রাণীটিকে না বু্ঝে পিটিয়ে হত্যা করেছে। মানুষ ভেবেছিল এটি আদমখোড়, যা মানুষের লাশ সুযোগ পেলে কবর থেকে তুলে খেয়ে ফেলে।”
এ বিষয়ে নাসিরনগর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. চন্দন কুমার পোদ্দার বলেন, “এটি গন্ধগোকুল বা বাগডাস। এরা নিরীহ এবং উপকারী প্রাণী। এরা খাদ্য হিসেবে বিভিন্ন ধরনের ফলমূল, পোকামাকড়, ব্যাঙ প্রভৃতি গ্রহণ করে। লোকালয়ে ও জঙ্গলে এরা বসবাস করে থাকে। এরা মাংসভোজী নয়।” তিনি আরো বলেন, প্রাণী পিটিয়ে হত্যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।সূত্র, DBC বাংলা