১৯৬৬ সালের ৬ দফার পর ছাত্রদের ১১ দফা মিলিয়ে প্রথমে গণঅভ্যুত্থান এবং পরে ৭০ এর নির্বাচন এবং সব শেষে বাঙালি তার মুক্তি সংগ্রামে পৌঁছেছিল ১৯৭১ সালে।
পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর থেকেই নানাভাবে শোষিত বঞ্চিত হতে থাকে বাংলার মানুষ। এরই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৬ সালের ৫ই ফেব্রুয়ারি লাহোরে তুলে ধরেন ঐতিহাসিক ৬ দফা দাবি। পরবর্তীকালে যা হয়ে ওঠে বাঙালির মুক্তির সনদ।
ছয় দফা দাবি আদায়ে ১৯৬৬ সালের ৭ই জুন আওয়ামী লীগের ডাকে হরতাল চলাকালে পুলিশ ও ইপিআর নিরস্ত্র মানুষের ওপর গুলি চালায়।
প্রদেশগুলোর পূর্ণ স্বায়ত্ত্বশাসনের অধিকার, অঙ্গরাজ্যগুলোর পূর্ণ ক্ষমতার অধিকার, পৃথক মুদ্রা ব্যবস্থা চালু, অঙ্গরাজ্যগুলোর সকল প্রকার রাজস্ব ধার্য ও আদায়ের ক্ষমতা, বৈদেশিক বাণিজ্যের অধিকার এবং স্বীয় কর্তৃত্বাধীনে আঞ্চলিক সেনাবাহিনী গঠনের ক্ষমতা ছিল ঐতিহাসিক ৬ দফার প্রধান দাবি।
পরবর্তীতে ৬ দফার পক্ষে দেশব্যপী তীব্র গণ-আন্দোলনের সৃষ্টি হয় যা বাঙালিকে টেনে নিয়ে যায় মহান মুক্তি সংগ্রামের পথে, অর্জিত হয় বাঙালির লাল সবুজ পতাকা।সূত্র,ডিবিসি নিউজ