Type to search

আজ আওয়ামী লীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী

জাতীয় বাংলাদেশ রাজনীতি

আজ আওয়ামী লীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী

অপরাজেয়বাংলা ডেক্স: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যাত্রা শুরু ১৯৪৯ সালে, পাকিস্তান সৃষ্টির দুবছর পার না হতেই। শুরুতে ছিল ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ’। সব ধর্মের মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করতে মুসলিম শব্দটা বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগ নাম ধারণ করে ১৯৫৫ সালে।

ভাষা আন্দোলন থেকে দেশের গণতান্ত্রিক সব আন্দোলন সংগ্রামের নেত্বত্বে ছিল এ দলটি। সবচেয়ে বড় অর্জন বাংলাদেশের স্বাধীনতা। বহু ঘাত-প্রতিঘাত পেরোনো উপমহাদেশের প্রাচীন এই রাজনৈতিক দলটির আজ ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।

দল গঠনের ভাবনার শুরু ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর। বঙ্গীয় প্রাদেশিক মুসলিম লীগের উদারপন্থী নেতাদের নতুন একটি রাজনৈতিক দল গঠনের চিন্তার বীজটি রোপিত  ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন। ঢাকার  কেএম দাশ লেনের রোজ গার্ডেনে গঠিত হয় ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ’।

সভাপতি মাওলানা ভাসানী ও সাধারণ সম্পাদক শামসুল হকের  ৪০ জনের কমিটিতে কারাগারে থেকেই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হন তরুণ নেতা শেখ মুজিবুর রহমান।

এই দলটিই তখন পাকিস্তানের প্রথম বিরোধী দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই দলটি প্রাদেশিক স্বায়ত্ত্বশাসন, রাস্ট্রভাষা বাংলা, সংসদীয় পদ্ধতির সরকার ও পাকিস্তানের দুই অঞ্চলের মধ্যে বৈষম্য দূরকরাসহ নানা দাবিতে এগুতে থাকে।

পাকিস্তানের প্রথম নির্বাচনে শেখ মুজিব ক্ষমতাসীন মুসলিম লীগেকে ক্ষমতাচ্যুত করতে অন্যদলকে সাথে নিয়ে যুক্তফ্রন্ট গঠনে মূখ্য ভূমিকা পালন করেন। ওই নির্বাচনে মুসলিম লীগের ভরাডুবি হলে আওয়ামী লীগ প্রধান দল হিসেবে অবস্থান নিশ্চিত করে।

এরপর ধীরে ধীরে এগুতে থাকে বাংলার স্বাধীনতা দিকে। ১৯৬৬ সালের শেখ মুজিব উপস্থাপন করেন স্বাধীন বাংলার মুক্তির সনদ ঐতিহাসিক ছয়দফা।

শেখ মুজিবকে দমাতে তাকে প্রধান আসামী করে পাকিস্তান সরকার দায়ের করে আগরতলা যড়ষন্ত্র মামলা। শেখ মুজিবের মুক্তির দাবিতে আন্দোলন তীব্র হয়ে ১৯৬৯ সালে গণঅভ্যুথানে রূপ নেয়। আপস

৭০ এর নির্বাচনে  ভুমিধস জয় পায় আওয়ামী লীগে। দলের প্রধান শেখ মুজিব হয়ে উঠেন বঙ্গবন্ধু। পাকিস্তানী জান্তা সরকার তার হাতে ক্ষমতা না দিলেও তৎকালীন পুর্ব পাকিস্তান চলতে থাকে তারই নির্দেশে।

৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানান। ২৫ মার্চ পাকিস্তানীরা গণহত্যা শুরু করলে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। গ্রেফতার হন বঙ্গবন্ধু। শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। বঙ্গবন্ধুকে রাস্ট্রপতি করে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে গঠিত হয় সরকার।

নয় মাসের যুদ্ধ শেষে ৩০ লাখ প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত হয় স্বাধীনতা। পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে ৭২ এর ১০ জানুয়ারী দেশে ফেরেন বঙ্গবন্ধু। শুরু করেন দেশ পূর্ণগঠনের কাজ।

১৯৭৫ এ একদল সেনাসদস্য হত্যা করে স্বাধীনতা সংগ্রামের মহানায়ক জাতির পিতা শেখ মুজিবকে। পাকিস্তানি কায়দায় দেশে শুরু হয় সেনাশাসন। নানা বাধার মুখে পড়ে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দলটি। বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ শুরু করে সামরিক স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন।

ঘাত-প্রতিঘাত শেষে ক্ষমতার পালাবদলের পর ১৯৯৬ সালে শাসন ক্ষমতায় ফেরে আওয়ামী লীগ। ২০০৭ এ আবার সামরিক বাহিনী সমর্থিত সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করে দলটির সভাপতি শেখ হাসিনাকে বন্দি করে রাখে এক বছর।

জনগণের অব্যাহত দাবির মূখে মুক্তি পেয়ে ২০০৮ এর নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্ব আওয়ামী লীগ বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে আবারো ক্ষমতায় ফেরে। সেই থেকে টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় রয়েছে আওয়ামী লীগ।সূত্র,ডিবিসি নিউজ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *