Type to search

অভয়নগরে সুন্দলী কলেজের নাইটগার্ডের বিরুদ্ধে নির্মণাধীন ভবনের মালামাল চুরির অভিযোগ

অন্যান্য

অভয়নগরে সুন্দলী কলেজের নাইটগার্ডের বিরুদ্ধে নির্মণাধীন ভবনের মালামাল চুরির অভিযোগ

এলাকাবাসী ফুসে উঠেছে চোরের শাস্তির দাবিতে

স্টাফরিপোর্টর:
সুন্দলী এস টি স্কুল এন্ড কলেজের নইটগার্ড গোপঅর মল্লিকের বিরুদ্ধে একাধিক চুরি অভিযোগ উঠেছে। তিনি নির্মানাধীন বন্যা আশ্রায়ণ কেন্দ্রের রড, সিমেন্ট, ইট, বালু, পাথরের খোয়া, স্যানিটেশন পাইপসহ বিভিন্ন ধরনের মালামাল চুরি করেছেন বলে এলাবাসীর অনেকেই অভিযোগ করেছেন।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে যশোরের অভয়নগর উপজেলার সুন্দলী এসটি স্কুল এন্ড কলেজের নৈশ্য প্রহরী সুন্দলী গ্রামের বারিন্দ্রনাথ মল্লিকের ছেলে গোপাল মল্লিক এর আগেও একাধিক চুরির ঘটনার সাথে জড়িত। তার বাড়ি থেকে প্রতিষ্ঠানের চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধার হয়েছে।
এসময় গ্রামবাসী গোপালের বিরুদ্ধে লোহার রড, সিমেন্ট, ইট, বালু, পাথরের খোয়া, স্যানিটেশন পাইপসহ বিভিন্ন ধরনের মালামাল চুরির অভিযোগ তুলে ধরে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষুদ্ধ গ্রামবাসী ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে গতকাল রবিবার সকালে ভবন নির্মানের কাজ বন্ধ করে দেয়। গ্রামবাসী গোপালের বিরুদ্ধে আরও জানায় গোপালের নির্দেশে বিভুতি বিশ্বাস ও গণেশ মল্লিক অসৎ উদ্দেশ্যে কয়েকদিন আগে রাতের বেলায় প্রতিষ্ঠান থেকে ১বান্ডেল লোহার রড বাজারে নিয়ে যাচ্ছিলো।
সুন্দলী এসটি স্কুল এন্ড কলেজের সভাপতি নৃপেন্দ্রনাথ বিশ্বাস বলেন, গোপাল মল্লিকের বিরুদ্ধে অনেক কিছু চুরির অভিযোগ রয়েছে। মালামালসহ অনেকবার গ্রামবাসীর কাছে ধরাও পড়েছে সে। আমি তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করি। প্রতিষ্ঠান পরিচালনা পর্ষদের সদস্য সুজন মল্লিক, সনৎ মল্লিক, সুন্দলী গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য প্রকাশ বিশ্বাস, একই গ্রামের প্রনব বিশ্বাস, সুশেন বিশ্বাস, বিজয় মল্লিক, দিলীপ বিশ্বাস (জলদ্বীপ), ঘের ব্যবসায়ী সাধন বিশ্বাস, রাজমিস্ত্রি শ্যামল বিশ্বাস, শিব বিশ্বাসসহ গ্রামবাসীর অনেকেই তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে ধরে বিচারের দাবি করেন।
নির্মানাধীন বন্যা আশ্রায়ণ (সাইক্লোন সেন্টার) কেন্দ্রের কাজ তদারকি ম্যানেজার জাকির হোসেন বলেন, চরি হওয়া অনেক মাল আমি গোপালের বাড়ি থেকে উদ্ধার করেছি। এর মধ্যে রয়েছে কাটা রড, স্যানিটেশন পাইপ, সিমেন্ট বস্তাসহ অনেক মালামাল। এসম্পর্কে প্রতিষ্ঠান প্রধানকে আমি অবগত করি।
সড়াডাঙ্গা গ্রামের খগেন্দ্রনাথ হালদারের পুত্র ভ্যানচালক আশুতোষ হালদার জানায়, আনুমানিক গত ২১/২২ মার্চ রাতে নাইটগার্ড গোপাল মল্লিক সুন্দলী বাজারের অমর বিশ্বাসের দোকানে পৌছে দেয়ার জন্য আমার কাছে ওয়ারিং পাইপ ও অ্যালবোসহ কিছু মালামাল পাঠায়। বিষয়টি সম্পর্কে দোকানদার অমর বিশ্বাস জানায়, আমি দোকানে ছিলামনা কিন্তু মালামাল আমার দোকানে দিয়েছিলো, আমি এই ধরনের আমার দোকানে বিক্রি করিনা তাই আমি রাখিনি। তবে এগুলো কন্ডাক্টর পাঠিয়েছে বলে জানতাম।
সুন্দলী এসটি স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো: আব্দুল লতিফ বলেন, চুরির বিষয়টি আমি শুনেছি। গোপাল মল্লিক আমার প্রতিষ্ঠানের নৈশ্য প্রহরি হয়ে একই প্রতিষ্ঠানে নির্মানাধীন বন্যা আশ্রায়ণ (সাইক্লোন সেন্টার) কেন্দ্র কাজের মালামাল পাহারাদারের কাজ করে সেই বিষয়ে আমি অবগত ছিলাম না।
লোহার রড বহনকারী সুন্দলী এসটি স্কুল এন্ড কলেজের নির্মানাধীন ভবন কাজের রাজমিস্ত্রির জোগালে সুন্দলী গ্রামের জগদীশ চন্দ্র বিশ্বাসের ছেলে বিভুতি বিশ্বাস ও বারিন্দ্রনাথ মল্লিকের ছোট ছেলে গণেশ মল্লিক বলেন, গোপালের নির্দেশে রাত্রি বেলায় ১বান্ডিল লোহার রড মাপার জন্য আমরা কাজের সাইট থেকে বাজারে নিয়ে আসার পথে কলেজ গেটে (প্রকাশ বিশ্বাসেরর ঘেরে কাছে) এসে ভারের জন্য বইতে না পেরে ফেলে দিই, পরে সেগুলো কি হয়েছে আমরা জানিনা।

এ সম্পর্কে গোপাল মল্লিক বলেন, ঐদিন রাতের বেলায় আমি বিভুতি ও গণেশকে এক বান্ডিল লোহার রড দিয়ে সেগুলো মাপার জন্য দিয়ে পাঠাচ্ছিলাম। লোহার রড নিয়ে যাওয়ার সময় প্রনব বিশ্বাস দেখে নেয় এবং রাত্রিবেলা হওয়ায় সকলে সন্দেহ করতে পারে ভেবে আমি সেগুলো কলেজে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য বলি। রডের ওজন বেশি থাকায় তারা রডগুলো সেখানে ফেলে রাখে। পরবর্তীতে সেগুলো আমি ফিরিয়ে আনি।