Type to search

অভয়নগরে মৎস্য ঘের নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান পক্ষের সাথে জমির মালিকদের বিবাদ, নিরসনের উদ্যোগ নিলেন এ সি ল্যান্ড

অভয়নগর

অভয়নগরে মৎস্য ঘের নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান পক্ষের সাথে জমির মালিকদের বিবাদ, নিরসনের উদ্যোগ নিলেন এ সি ল্যান্ড

স্টাফ রিপোর্টার: যশোরের অভয়নগর উপজেলার বাগদহ বিল কৃষি ও মৎস্য উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে বিবাদমান দ্বন্দ্ব নিরসনের উদ্যোগ নিয়েছেন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) /এ সি ল্যান্ড কে এম রফিকুল ইসলাম। তিনি বুধবার দুপুরে প্রকল্পটি সরজমিনে পরিদর্শণ করে বিবাদমান দুই গ্রুপের নের্তৃবৃন্দ ও বিলের জমির মালিকদের সাথে কথা বলেন। তিনি প্রকৃত জমির মালিক চিহ্নিত করার জন্য সকল জমির মালিকদের জমির পরিমান ও নামের তালিকা আগামী ৫ জুলাই তারিখের মধ্যে তার দপ্তরে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে জমির ১৮০ জন মালিক চুক্তি বদ্ধ হয়ে স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তির কাছে তাদের জমি মাছ ও ধান চাষের জন্য হস্তান্তর করে। চুক্তির পর তারা খামারে মাছের পোনা অবমুক্ত করেছে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযুক্ত প্রকল্পের সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান বিল উন্মুক্ত ঘোষনা করেনে। এ সুযোগে জনগন খামার থেকে মাছ ধরা শুরু করে। এ ঘটনায় উপজেলা সহকারি কমিশনার ভূমির কাছে বিচার চেয়ে প্রতিপক্ষ আবেদন করেন।
জানা গেছে ,চলিশিয়া ও বাগদহ গ্রামবাসীর উদ্যোগে ২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বাগদহ বিল কৃষি ও মৎস্য উন্নয়ন প্রকল্প। প্রকল্পটিতে বোরো মৌসুমে ধান চাষ করা হয়। এবং ধান উঠানোর পর বাকি সময় মাছ চাষ হয়। প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে ৩৩ শতাশেংর প্রায় তিনশত বিঘা জমি। ওই জমির মালিক প্রায় ২২১ জন। জমির মালিকেরা শেয়ার ক্রয় করে প্রকল্পের সদস্য হতে পারবেন। এর জন্য প্রতিবছর এক হাজার টাকা মূল্য হিসাবে তিনশ বিঘা জমির বিপরীতে এক হাজরের বেশি শেয়ার ছাড়া হয়। জমির মলিকেরা ওই শেয়ার ক্রয় করেন। সাধারন্ত প্রভাবশালীরা শত শত শেয়ার ক্রয় করেন। তারাই মুলত প্রকল্পের কার্যনিবাহী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হয়ে থাকেন।
বর্তমানে প্রকল্পটির সভাপতি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নাদির হোসেন মোল্যা, সাধারণ সম্পাদক সুভাস পাল ও কোষাধ্যক্ষ আজিজর সরদার। জমির মালিকদের অভিযোগ আশপাশের প্রকল্পে লাখ লাখ টাকা লাভ হচ্ছে। সেই হিসাবে তাদের প্রকল্পে অনেক লাভ হওয়ার সম্ভাবনা। কিন্তু প্রকল্পের কর্মকর্তারা প্রকল্পে লোকসান দেখিয়ে মুল শেয়ার থেকে টাকা কেটে নিয়েছে।
বাগদহ গ্রামের বাসিন্দা কৃষক আব্দুল হামিদ বলেন, তার নিজের ৪৮ শতাংশ ও তার গোষ্টির লোকজনের প্রায় ১০/ ১২ বিঘা জমি আছে ওই প্রকল্পের মধ্যে। তিনি জানান, প্রকল্প শুরুর দিকে শেয়ার প্রতি বছরে এক হাজার তিনশ টাকা পর্যন্ত লাভ হয়েছে। কিন্তু বর্তমান পরিচালনা কমিটির লোকজন এ বছর তাদের মুল শেয়ার থেকে লোকসান বাবদ ১২৫ টাকা কেটে নিয়েছে। গত বছর তারা সামান্য লাভ দিয়েছিলো।তিনি আরো বলেন প্রকলেপর কর্মকর্তারা দুর্নীতি করেছে। এ জন্য লোকসান হয়েছে। যে কারনে আমরা প্রকল্প ভেঙ্গে বিকল্প ব্যবস্থায় মাছ চাষের উদ্যোগ নিয়েছি।
প্রকল্পের সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান নাদির হোসেন মোল্যা এসিল্যান্ডের সরজমিন তদন্ত কালে বলেন, গত বছর ঘের ভেঙ্গে মাছ চলে যায়। এ কারনে লোকসান হয়েছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *