Type to search

অভয়নগরে মুক্তিপণ আদায়কালে নারীসহ ৯ অপহরণকারী গ্রেফতার

অন্যান্য

অভয়নগরে মুক্তিপণ আদায়কালে নারীসহ ৯ অপহরণকারী গ্রেফতার

স্টাফ রিপোটার : সমবায় সমিতির কর্মকর্তাকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করার সময় যশোরের অভয়নগর থানা পুলিশ এক নারীসহ ৯ অপহরণকারীকে আটক করেছে। রবিবার দিবাগত রাত দুইটার সময় উপজেলার সরখোলা গ্রামের বিলের মধ্য থেকে অপহৃত ওই কর্মকর্তাকে উদ্ধার করে।

 

অপহৃত ওই কর্মকর্তার নাম ইকবাল জাহিদ(৪০)। তিনি অভয়নগর উপজেলা একতারপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলী খানের ছেলে। এ ঘটনায় ১৫ জনের নামে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।

আটককৃত আসামিরা হলো, উপজেলার বুনোরামনগর গ্রামের এম এম শামছুর রহমানের ছেলে এম এম রুবেল হাসান বাবু(৩৩), নওয়াপাড়া প্রফেসারপাড়ায় আকাশ মোল্যা(২৪), বুইকারা মালেকের চাতাল এলাকার মুজিবর হাওলাদারের ছেলে রবিউল ইসলাম(৩৫), নওয়াপাড়া পঁচকবর এলাকার গণি সরদারে ছেলে আ: মালেক(৩২), আকাশ হোসেন(২৫) পিতা ও ঠিকানা অজ্ঞাত, ইছামতি গ্রামের ইমরুল খাঁন ও তার বোন কনা বেগম, যশোরের কাঁঁঠালতলা এলাকার সোহেল হোসেন(২৮), আরমান হোসেন(২৩), ইব্রাহিম (২২)। এর বাইরে সরখোলা গ্রামের সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে মো:শাকিলসহ(৩২) অজ্ঞাত আরো ৪ জন আসামি রয়েছে। শাকিলসহ আসামিদের কয়েকজনের নামে থানায় হত্যামামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।

থানা পুলিশ ও অপহৃত ওই কর্মকর্তার সাথে কথা বলে জানা গেছে, আল আরাফা সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতির মাঠ কর্মকর্তা ইকবাল জাহিদ। তিনি সমিতির কয়েকজন সদস্যের আমানাত ফেরত দেওয়ার জন্য রবিবার সকাল আটটার দিকে উপজেলার ইছামতি গ্রামের জাহিদ খানের মেয়ে কনা বেগমের বাড়িতে আসেন। তিনি ওই দিন সমিতির বিবাদমান দশ জন সদস্যের ৭০ হাজার টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য গিয়েছিলেন। এ সময়ে কনা বেগম, তার ভাই ইমরুল হোসেন ও স্থানীয় কিছু লোকজন মিলে ইকবাল জাহিদকে ঘরে আটকে রাখে । তারা ওই কর্মকর্তার কাছে এক লাখ ত্রিশ হাজার টাকা দাবি করে। টাকা না দিলে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। পরে তিনি ছাড় পাওয়ার জন্য সমিতির কেন্দ্রীয় অফিস যশোরে কর্মরত ক্যাশিয়ারকে টাকা পাঠানোর কথা বলেন। বিষয়টি অবগত হয়ে যশোরের কেন্দ্রীয় অফিস অপহরণকারীদের হাত থেকে মুক্ত করতে এক লাখ ত্রিশ হাজার টাকা পাঠায় এবং বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করে।ওই টাকা পাওয়ার পরেও অপহরণকারীচক্র ইকবাল জাহিদকে সন্ধ্যায় একটি মাইক্রো বাসে উঠিয়ে নিয়ে নওয়াপাড়া বাজারে সোহাগ পরিবহনের কাউন্টারে এনে মারপিঠ করে। এসময় তার কাছে আরো ৩০ হাজার টাকা দাবি করে। পরে তাকে নওয়াপাড়ার পাঁচ কবর এলাকায় আসামি মালেকের বাড়িতে নিয়ে বেদম মারধর করে জখম করা হয়। মুক্তি পনের ৩০ হাজার টাকার জন্য তাকে ওই মাইক্রোবাসে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় ওই কর্মকর্তা ফোন করে বিকাশে টাকা পাঠানোর কথা বললে তারা শান্ত হয়।

ততক্ষণে বিষয়টি থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ অপহরণকারীদের মোবাইল ট্রাক করে। পুলিশ অপহৃতর স্ত্রীর কাছে টাকা দিয়ে নির্ধারিত জায়গার পাশে ওৎ পেতে থাকে । এভাবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কাছ থেকে পুলিশ প্রথমে আসামী রবিউলকে আটক করে। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সরখোলা গ্রামের ধোপাদী বিল থেকে অপহৃত ইকবাল জাহিদকে উদ্ধার করে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে রুবেল,আকাশ ও মালেককে গ্রেফতার করে। বাকি আসামিদের ওই রাতেই গ্রেফতার করা হয়েছে । অভয়নগর থানার অফিসার ইনচার্য তাজুল ইসলাম বলেন, ‘মোবাইল ট্রাক করে আসামীসহ ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। বাকি আসামিদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছি।’