Type to search

অভয়নগরে বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধীকে মারধর ও শ্লীলতাহানীর অভিযোগ

অভয়নগর

অভয়নগরে বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধীকে মারধর ও শ্লীলতাহানীর অভিযোগ

স্টাফ রিপোটার:
যশোরের অভয়নগর উপজেলায় সুমাইয়া (২০) নামের এক বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধীকে মারধর ও শ্লীলতাহানীর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় সুমাইয়াকে উদ্ধার করতে গিয়ে আরও তিনজন হামলার শিকার হয়েছে। গত রবিবার সকালে উপজেলার সিরাজকাঠি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পিতা তৈমুর বাদি হয়ে ভাই রেজাউল বিশ্বাস (৬৫) সহ তার ভাইপো জনি বিশ্বাস (৪০), ভাবি সখিনা বেগম (৬৫) ভাইজি নাজমা খাতুন (৩০) চার জনের বিরুদ্ধে অভয়নগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, উপজেলার সিরাজকাঠি এলাকার মৃত জব্বার বিশ্বাসের পুত্র তৈমুর বিশ্বাস ও রেজাউল বিশ্বাস তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি মৌখিক ভাবে ভাগাভাগি করিয়া যে যার অংশ ভোগদখল করছিল। ১৯৯৬ সালে ভাইপো জনি তার জমির অংশ চাচা তৈমুরের কাছে বিক্রি করে চলে যায়। পরবর্তীতে ৬ বছর পূর্বে জনি ফিরে এসে স্ত্রী সন্তান নিয়ে কোথায় থাকব বলে চাচা তৈমুরের কাছে কান্নাকাটি করলে তৈমুর বাড়ির পেছনে কিছু জমি দানপত্র দলিল করিয়া দেয়। তারা সেখানেই বসবাস করতে থাকে। গত রবিবার সকালে বিবাদীরা তৈমুরের গাছ থেকে ছবেদা পারতে থাকে এসময় তৈমুরের মেয়ে বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী
সুমাইয়া তাদের ইশারায় বাঁধা প্রদান করলে বিবাদীরা সুমাইয়াকে লাঠি ও ইট দিয়ে আঘাত ও শ্লীলতাহানি করে। এসময় সুমাইয়াকে উদ্ধার করতে গিয়ে আফরোজা, হামিদা ও মোমেনা নামের তিন নারীও আহত হয়। এসময় স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে বিবাদীরা বিভিন্ন হুমকি ধামকি সহ মিথ্যা মামলা দেওয়ার কথা বলে ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। পরে স্থানীয়দের সহোযোগিতায় তৈমুর মেয়ে সুমাইয়াকে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করেন।
পাশ্ববর্তী তাসলিমা, আফরোজ সহ স্থানীয়রা জানান,বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী সুমাইয়ার উপর হামলার ঘটনা এটাই প্রথম নয়। এর আগেও তার উপর কয়েকবার হামলার চালিয়েছে বিবাদীরা।
অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সর জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ঈশিতা ইয়াসমিন জানান, গত রবিবার সকালে সুমাইয়া নামের এক বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী শরীরের বিভিন্ন জায়গায় নিলা ফোলা জখম নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তার চিকিৎসা চলছে।
অভয়নগর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মিলন কুমার মন্ডল জানান, অভিযোগ পেয়ে পুলিশ হাসপাতাল ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।