Type to search

অভয়নগরে প্রেমিকের ছোড়া এসিডে প্রাণ গেল প্রেমিকার

অভয়নগর

অভয়নগরে প্রেমিকের ছোড়া এসিডে প্রাণ গেল প্রেমিকার

স্টাফ রিপোর্টার

যশোরের অভয়নগর উপজেলায় শামিম হাসান (৩৫) নামের এক শ্রমিকের ছোড়া এসিডে কেয়া খাতুন (২৬) নামের এক মিল শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুর দুইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। তারা দুজনই উপজেলার এসএএফ চামড়ার মিলের শ্রমিক ছিলেন।
নিহত কেয়া খাতুন উপজেলার গ্রামতলা গ্রামের আবুল কালামের মেয়ে। তিনি স্বামী পরিত্যাক্তা আর শামীম হাসান উপজেলার জাফরপুর গ্রামের মোশাররফ হোসেনের ছেলে। তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন প্রেমজ সম্পর্ক চলে আসছিল বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও নিহতের পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে অভয়নগর উপজেলার তালতলায় এসএএফ চামড়ার মিলে শামীম হাসান ও কেয়া খাতুন শ্রমিকের কাজ করতো। কাজ করার সুত্রে তাদের মধ্যে প্রেমজ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে শামীম হাসান ওই নারীকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু কেয়া রাজী হয়না। এতে শামীম হাসান তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। গতকাল সোমবার দুপুরে মিলের মধ্যে কেয়া খাতুন কাজের ফাঁকে বিশ্রাম নেয়ার সময় শামীম প্রথমে কেয়ার মাথায়লোহার রড দিয়ে আঘাত করে। পরে মিলের ড্রামে থাকা এসিড এনে তার শরীরে ঢেলে দেয়। এসিডে তার শরীর ঝলসে যায়। এরপর তাকে অভয়নগর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স্রে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। পুলিশ এঘটনায় ঘটনার সাথে জড়িত শামীম হাসানকে আটক করেছে।
নিহত কেয়ার মামা হাবিবুর রহমান বলেন,‘ শামীম হাসান দীর্ঘদিন আমার ভাগ্নিকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। সে রাজী না হওয়ায় এ ঘটনা ঘটিয়ে আমার ভাগ্নিকে এসিড দিয়ে মেরে ফেলেছে।’
অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) একেএম শামীম হাসান বলেন,‘দির্ঘদিনধরে চলে আসা প্রেমজ সম্পর্কের পর বিয়ের প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় শামীম হাসান নামে এক শ্রমিক ওই মিলের কেয়া নামের এক মহিলা শ্রমিককে এসিড নিক্ষেপ করে। সাথে সাথে তার মৃত্যু হয়। এ ব্যাপারে অভয়নগর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। ঘটনার সাথে জড়িত শামীম হাসানকে আটক করা হয়েছে।’