Type to search

অভয়নগরে পান চাষে ব্যাপক সাফল্য

অভয়নগর

অভয়নগরে পান চাষে ব্যাপক সাফল্য

প্রিয়ব্রত ধর,অভয়নগর থেকেঃ

যশোরে অভয়নগর উপজেলাতে এবার  পান চাষ করে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন উপজেলার  কৃষকরা। পান চাষ লাভজনক হওয়ার কারণে দিন দিন এ অঞ্চলে পানের চাষ বৃদ্ধি পায়ে চলেছে।

আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবারে পানের ফলন ভালো হয়েছে বলে জানান কৃষকরা। চাষিরা বাজারেও পানের দাম পাচ্ছেন ভালো।

খোজ নিয়ে জানা যায়, এ উপজেলার প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষের পানের বরজ আছে। এসব এলাকার মধ্যে আবার পান চাষের জন্যে বাঘুটিয়া ইউনিয়নের মধ্যে অন্যতম। এ গ্রামে অধিকাংশ কৃষকদের প্রধান আয়ের উৎসই হচ্ছে পান চাষ। যাদের জমি নেই, তারাও অন্যের জমি বন্ধক নিয়ে পান চাষ করছেন।

আর এ থেকেই তারা মেটাচ্ছেন পরিবারের আয়ের উৎস।

পান চাষি শাহিন আহমেদ বলেন, পান সাধারণ ভাদ্র-আশ্বিন মাসে দো-আঁশ মাটিতে চাষ করতে হয়। ভালো ভাবে আগাছা পরিষ্কার করে চাষ দিয়ে প্রতি এক শতক জমিতে ২ কেজি ফসফেট, ১ কেজি চুন ও ২০০ গ্রাম লিজেন্ট মাটির সঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে দিতে হয়।

পরে দেড় ফুট দূরত্বে সারি বেঁধে মাটি উঁচু করে ১ ফুট দূরত্বে পানের গাছ লাগিয়ে দিতে হয়। প্রতিটি পানের লতা থেকে ১২ থেকে ১৫টি চারা লাগানো যায়। এরপর বাঁশের শলা, পাটকাঠি, জিআই তার, কাশবন, সুপারি পাতা ও সুতা দিয়ে পানের বরজ বানাতে হয়। একটি পানের বরজ থেকে সর্বনিম্ন ১৫ বছর একাধারে পান পাওয়া যায়।

আরেক পান চাষি রফিকুল জানান, পান চাষ করেই আমার সংসার চলে। এই পর্যন্ত পানের ভালো ফলন পেয়েছি, দামও ভালো পেয়েছি। পান চাষ করে আমি স্বাবলম্বী। বর্তমানে প্রতি পোন পান আকার ভেদে ৬০ থেকে ১০০ টাকা দরে পাইকারি বিক্রি করতে পারছি। বাজারে পানের চাহিদা থাকায় পুরাতন পানের যে দাম পেয়ে ছিলাম, এখন নতুন পানেরও দাম তেমনি আছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার গোলাম সামদামী বলেন, চলতি বছর ৪০০/৪২০ হেক্টর জমিতে পান চাষ হয়েছে। এ উপজেলাতে পান চাষিদের কয়েকটি প্রশিক্ষণ করানো হয়েছে। যে কারণে এ এলাকায় পান চাষ ভালো হচ্ছে। লাভজনক হওয়ায় দিন দিন এখানে পান চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *