Type to search

অভয়নগরে পাচার হওয়া কিশোরী দেশে ফিরে ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিলেন

অভয়নগর

অভয়নগরে পাচার হওয়া কিশোরী দেশে ফিরে ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিলেন

 

স্টাফ রিপোর্টার: অভয়নগরে এক কিশোরী ভরতের পতিতালয় থেকে পালিয়ে এসে ৬ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
গতকাল শনিবার অভয়নগর থানায় তিনি অভিযোগটি দায়ের করেন।
অভিযুক্তরা সবাই উপজেলার বাগদহ গ্রামের বাসিন্দা। তারা হলেন, মিলন শেখ(৪৫) ও তার স্ত্রী পান্না বেগম (৪০), কেয়া বেগম (২৬) ও তার স্বামী মইন শেখ(৩৮), ওমর আলী(৬০) ও তার স্ত্রী মরিয়ম বেগম (৫৫)।
অভিযোগে ওই কিশোরী জানায়, বিবাদীরা তার নানা হাসান আলী বিশ^াস এর বাড়ীর আশপাশের প্রতিবেশী। উপজেলার বাগদাহ্ গ্রামে তার নানা বাড়ী। ওই কিশোরী নানা বাড়ীতে বড় হয়েছে। বিবাদীরা তাকে নানাভাবে ফুসলাইয়া ভারতে থাকা তাদের আরো লোকজনের মাধ্যমে বিগত ২০১৯ সালের প্রথম দিকে ভারতে পাচার করে বিক্রয় করে দেয়। তিন বছর ধরে সেখানে থাকাকালে তার উপর নানা ধরনের অত্যাচার নির্যাতনের সম্মুখিন হতে হত। দিনের পর দিন অত্যাচার নির্যাতন বাড়তেই থাকে। এরপর এক বছর আগে সিলেট জেলার সুনামগঞ্জের দ্বিরাই থানা এলাকার মিম নামে এক মেয়ের সাথে তার ঘনিষ্ট সম্পর্ক হয়। একপর্যায়ে মিমের সহযোগীতায় ভারত থেকে পালিয়ে সে সিলেটে আসে। ওই কিশোরী ২০২১ সালের ফেব্রæয়ারী মাসের ০৮ তারিখে দ্বিরাই থানায় বিবাদীদের বিরুদ্ধে মামলা করে।
মামলা করার কারনে বিবাদীরা তার উপর ক্ষিপ্ত হয়। তিন মাস আগে সিলেট থেকে সে বাড়ী আসে। বাড়ীতে আসার পর বিবাদীরা তাদের নামে করা মামলা উঠাইয়া নেওয়ার জন্যে নানাভাবে হুমকি দিয়া আসিতেছে। গত ইং-৩০/১০/ ২০২১ তারিখ বিকাল অনুঃ ০৪:০০ ঘটিকার সময় ওই কিশোরী বাগদাহ গ্রামে তার নানা বাড়ীতে অবস্থানকালে মাঠ থেকে ছাগল আনতে যায়। সেখানে বিবাদী মিলন শেখ তার হাত চেপে ধরে জোর করে ইজিবাইকে উঠাইতে যায়। তখন সে চিৎকার করিলে তার নানী মাজেদা বেগম (৫৫) বাড়ী থেকে ছুটে আসে। তা দেখে ওই বিবাদী দ্রæত সেখান থেকে চলিয়া যায়। অভিযোগে ওই কিশোরী আরো উল্লেখ করেছেন যে,বিবাদীরা আমার স্বাভাবিক জীবনটাকে শেষ করিয়া দিয়াছে। আমি অনেক কষ্টে ভারত থেকে কোন রকমে দেশে ফিরিলেও বিবাদীরা আবারো আমার পিছনে উঠিয়া পড়িয়া লাগিয়াছে। আমি স্থানীয়ভাবে বিষয়টির কোন সুরাহা করিতে না পারিয়া আত্মীয়-স্বজন সহ এলাকার গন্যমান্য লোকজনের সাথে আলোচনা করিয়া থানায় আসিয়া অভিযোগ করিলাম। এ বিষয়ে জানতে চাইলে থানার অফিসার ইনচার্য(তদন্ত) মিলন কুমার মন্ডল বলেন, ‘ওই কিশোরীর একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ ব্যপারে তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *