Type to search

অভয়নগরে নওয়াপাড়া খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা ইসমাইলের বিরুদ্ধে ৩০ টন চাল ক্রয়ে অনিয়মের অভিযোগ

অভয়নগর

অভয়নগরে নওয়াপাড়া খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা ইসমাইলের বিরুদ্ধে ৩০ টন চাল ক্রয়ে অনিয়মের অভিযোগ

অপরাজেয় বাংলা ডেক্স: যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলার নওয়পাড়া  খাদ্যগুদামে মালামাল ঘাটতিসহ বিধিবহির্ভুত চাল কেনার অভিযোগ উঠেছে। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইসমাইল আদম এ কাজ করেছেন বলে সংশ্লিষ্টরা বলছেন। কেবল তাই না, তাকে বদলি করে পরিদর্শক ওয়াসিম কুমার মন্ডল নামে এক কর্মকর্তাকে নওয়াপাড়া খাদ্যগুদামে বদলি করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। নতুন এই কর্মকর্তা যোগদান করে চার্জ বুঝে দেয়ার কথা বলায় জুনিয়র কর্মকর্তা উপপরিদর্শক ইসমাইল আদম তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছেন। তাকে তার দপ্তর থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র অভিযোগ করেছেন। সূত্রের দাবি, ইসমাইল আদম গুদামে ব্যাপক ‘নয়ছয়’ করেছেন। এ কারণে গুদাম বুঝে না দিয়ে পার পাওয়ার চেষ্টা করছেন তিনি। এ ঘটনায় লাঞ্ছিতের শিকার ওয়াসিম কুমার মন্ডল জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ করেছেন।
দু’ছরের বেশি সময় ধরে ইসমাইল আদম নওয়াপাড়া খাদ্যগুদামে রয়েছেন। এই সময়কালে তার বিরুদ্ধে নানা ধরনের অভিযোগ ওঠে। সম্প্রতি তাকে খুলনায় বদলি করা হয়েছে। তার স্থলে দেয়া হয়েছে খুলনার বটিয়াঘাটা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওয়াসিম কুমার মন্ডলকে। এতেই বিপাকে পড়েছেন ইসমাইল আদম। তিনি এতদিন ধরে গুদামে যে অনিয়ম করেছেন তা রাতারাতি পূরণ করতে পারছেন না বলে সূত্র জানিয়েছে। এ কারণে তিনি নতুন কর্মকর্তাকে চার্জ বুঝে দিতে চাচ্ছেন না। চেষ্টা করছেন নানাভাবে তার ওপর দায় চাপানোর।
নওয়াপাড়া খাদ্যগুদামের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ইসমাইল আদম ইতিমধ্যে কমপক্ষে ৩০ মেট্রিকটন চাল কিনেছেন বিধিবহির্ভুতভাবে। সূত্রের দাবি, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ধানের পরিবর্তে এই চাল কিনে বিল উত্তোলন করে নিয়েছেন। এটি করে তিনি নানাভাবে লাভবান হয়েছেন।
সূত্র জানিয়েছে, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইসমাইল আদম তার অনুগত কিছু মিলার জোগাড় করে চাল কিনেছেন। অথচ কাগজপত্রে দেখিয়েছেন ধান কেনা হয়েছে বলে। এটি করে তিনি শ্রম হস্তার্পণ ঠিকাদারের বিল, প্রতিটন ধান মাড়াই বাবদ ১২শ’ টাকা এবং প্রতি কেজি চাল থেকে পাঁচ টাকা করে আত্মসাৎ করেছেন বলে সূত্র জানিয়েছে। সবমিলিয়ে বিপুল অঙ্কের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন ইসমাইল আদম।
আগে থেকেই এসব অনিয়ম করার কারণে ইসমাইল আদম নতুন কর্মকর্তা ওয়াসিম কুমার মন্ডলকে মালামাল বুঝে দিচ্ছেন না বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে। পাশাপাশি নতুন কর্মকর্তার উপর মারমুখি আচরণ করছেন। তার এ ধরনের কর্মকান্ডে খাদ্যবিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। তারা ইসমাইল আদমের কর্মকান্ডের তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে নতুন কর্মকর্তা ওয়াসিম কুমার মন্ডল জানিয়েছেন,‘বুধবার যোগদান করেছি। কিছু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। গুদাম বুঝে নেয়ার চেষ্টা করছি। বিষয়টি জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে জানিয়েছি।’
বদলি হওয়া ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইসমাইল আদম বলেন,‘লাঞ্ছিত করার সুযোগ নেই। মানুষ অনেক কিছু বলতে পারে। সরকারি জিনিসতো বুঝ করে দিতে হবে।’
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুর রহমান বলেন,‘সবকিছু অবগত আছি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

সূক্র: গ্রামের কাগজ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *