Type to search

অভয়নগরে খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা ইসমাইল আদমের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড়

অভয়নগর

অভয়নগরে খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা ইসমাইল আদমের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড়

অপরাজেয় বাংলা ডেক্স; যশোরের নওয়াপাড়া খাদ্যগুদামের একটি খামাল থেকে একশ’ ১৮ বস্তা চাল উধাও হয়ে গেছে। বিক্রি করে দেয়া হয়েছে ১৭ হাজার নতুন বস্তা। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইসমাইল আদম এই চাল ও খালি বস্তা বিক্রি করেছেন বলে গুদাম সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। তাকে বদলি করার পর নতুন কর্মকর্তা দায়িত্ব বুঝে নিতে গিয়ে এই ঘাপলা ধরা পড়ছে।
আশঙ্কা করা হচ্ছে, অন্যান্য খামালেও চালের বস্তা কম পাওয়া যাবে। এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। বুধবার এই কমিটি গঠন করেছেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুর রহমান।

দীর্ঘদিন ধরে নওয়াপাড়া খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইসমাইল আদমের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অভিযোগ ছিল। এই অভিযোগে সম্প্রতি তাকে খুলনায় বদলি করা হয়েছে। তার স্থলে দেয়া হয়েছে খুলনার বটিয়াঘাটা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওয়াসিম কুমার মন্ডলকে। তিনি যোগদান করে দায়িত্ব বুঝে নিতে চাইলে ইসমাইল আদম ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে লাঞ্ছিত করেন। এক পর্যায়ে কোনোকিছু বুঝে না দিয়ে পার পাওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু নবাগত কর্মকর্তা ওয়াসিম কুমার মন্ডল সবকিছু বুঝে নেয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানান। কর্মকর্তাদের নির্দেশে গুদামে থাকা মালামাল বুঝ করে নিতে শুরু করেছেন নতুন কর্মকর্তা ওয়াসিম কুমার মন্ডল। তিনি প্রথমদিন মঙ্গলবার দু’ নম্বর গোডাউনের বামহাতের একটি খামালের চালের বস্তা গুণে একশ’ ১৮ বস্তা কম পেয়েছেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। বুধবার মালামাল যাচাই করতে গিয়ে পঞ্চাশ কেজির পাঁচ হাজার ও ৩০ কেজির ১২ হাজার নতুন খালি বস্তা খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে সূত্র জানিয়েছে।

এদিকে, বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুর রহমান তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। এই কমিটির প্রধান করা হয়েছে টেকনিক্যাল ফুড অফিসার হাফিজুর রহমানকে। এছাড়া, সদস্যরা হচ্ছেন, অভয়নগর উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মিনা খানম ও সদর উপজেলা খাদ্যগুদামের ইন্সপেক্টর জাহাঙ্গীর আলম। বুধবার এ কমিটি গঠন করা হয়েছে। দু’ একদিনের মধ্যে তদন্ত কমিটি তাদের কাজ শুরু করবে। অভয়নগর উপজেলা খাদ্য কর্ম
কর্তএা মিনা খানম জানান, অফিসিয়াল কাজের চাপে এখনো তদন্ত শুরু হয়নি। আমাদের সাধ্য মতো সুষ্ঠ তদন্ত করবো। তদন্ত রিপোর্ট  দেওয়ার পর ্উর্ধতন কর্মকর্তা ্আ্ইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইসমাইল আদমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘গুদামে অতগুলো বস্তা স্টকে ছিল না। তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা এসে দেখুক। যদি আমি অপরাধ করি তাহলে শাস্তি পেতে হবে। আমি খানিকটা সহজ সরল লোক। বেশিরভাগ সময় পরিবার নিয়ে ব্যস্ত থাকি। আমি কেমন লোক এখানকার অনেকেই জানেন। আপনি তাদের সাথে কথা বলে দেখেন।’
এ নিয়ে নতুন কর্মকর্তা ওয়াসিম কুমার মন্ডল কোনো রকম মন্তব্য করতে চাননি।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুর রহমান বলেন, ‘ঘটনা শোনার পর তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে রিপোর্ট পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
খুলনা বিভাগীয় খাদ্য কর্মকর্তা (আরসি ফুড) মাহবুবুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নতুন যিনি গিয়েছেন তিনি শতভাগ দায়িত্ব বুঝে নিবেন। অভিযোগ ওঠায় ডিসি ফুডকে কমিটি করে দিতে বলেছি। তিনি কমিটি করেছেন। কয়েকটা দিন সময় দিন, সবকিছু পরিষ্কার হবে। সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। কোনোভাবেই ছাড় দেয়া হবে না।’

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *