Type to search

অভয়নগরে এসএস সি পরীক্ষার ফরম পূরণে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ

অভয়নগর

অভয়নগরে এসএস সি পরীক্ষার ফরম পূরণে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ

অভয়নগরে এসএস সি পরীক্ষার ফরম পূরণে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ:শিক্ষার্থী-অভিভাবকের মাঝে ক্ষোভ

অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি:

যশোর অভয়নগর উপজেলাায়   এসএসসি পরীক্ষা-২০২২ এর ফরম পূরণে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এতে বিপাকে পড়ছে অসচ্ছল পরিবারের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে তাদের মাঝে।
কিছু অভিযোগকারী জানায়, করোনা পরবর্তী সময়ে মাত্র ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছি। একদিকে দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতি অন্যদিকে সামনে ঈদ। জমি-জমা পানির নীচে, ঘরে খাবার নেই। এত কিছু একসাথে সামাল দিতে নাভিশ্বাস অবস্থা। এরমধ্যে ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া চালানো কষ্টকর হয়ে পড়েছে। তার উপর সরকার নির্ধারিত ফরম পূরনের টাকা ধার দেনা করে যোগাড় করতে হচ্ছে। আবার যদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি বেশি টাকা নেয় তাহলে আমারা যাব কোথায়?
ক্ষোভের সাথে বেশ কিছু অভিভাবক জানায়, বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা বলছে মাত্র ২-৩শ’ টাকা বেশি নেয়া হচ্ছে, এটা তাদের কাছে মাত্র হলেও আমাদের কাছে কত কষ্টকর তা কি তারা বোঝে?
খোজ নিয়ে জানা যায়, অভয়নগরের অধিকাংশ মাধ্যমিক স্কুলগুলো এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা যায়, এবছর বোর্ডে মানবিক ও বাণিজ্য শাখায় কেন্দ্র ফি সহ ১৪শ’ ৯৫টাকা ও বিজ্ঞান শাখায় ১৬শ’ ১৫টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। অথচ উপজেলার চলিশিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মানবিক শাখায় ২৫শ’টাকা আদায় করা হচ্ছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই বিদ্যালয়ের এক ছাত্রী জানায়, আমার বাবা-মা শ্রমিকের কাজ করেন। তারপরও স্কুল আমাদের কাছ থেকে ২৫শ’ টাকা আদায় করছে। অন্যএক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২৩শ’ টাকা আদায় করা হচ্ছে। একজন প্রধান শিক্ষক জানান, আমাদের বিদ্যালয়ে গ্রæপ অনুমোদনের টাকাটা এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করা হয়। যে কারণে ১৭শ’ থেকে ১৮শ’ টাকা পর্যন্ত নেয়া হচ্ছে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের বকেয়া বেতনগুলি আদায় করা হচ্ছে। পায়রাহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও আঃ হামিদ টি.এস মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ও মশিয়াহাটী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মানবিক ও বাণিজ্য শাখায় ২৫শ’ টাকা ও বিজ্ঞান শাখায় ২৬শ’ টাকা আদায় করা হচ্ছে বলে ওই স্কুলের অভিভাব-শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে আমাদের বিদ্যালয়ে ২১শ’ থেকে ২২শ’ টাকা ফি নির্ধারণ করেছে।
এব্যপারে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ঠাকুর দাশ মন্ডল জানান, বোর্ড ফিসসহ ২৪ মাসের বেতন ও সেশন চার্জ একসাথে নেয়া হচ্ছে। অপর শিক্ষক জানান, বিদ্যালয়ের বিদ্যুৎ বিলসহ অন্যান্য খরচ থাকে তাছাড়া বেতনতো কেউই দেয়না ওই এইভাবে কিছু বেশি টাকা নেয়া হয়।
এব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. শহিদুল ইসলাম জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি, বিভিন্ন বিদ্যালয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে দেখবো।
এব্যপারে অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানান, বিষয়টি সম্পর্কে আমাদের কাছে কেউ অভিযোগ করেনি, তবে আমি মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিষয়টি খোজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নিতে বলব।
যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাধব চন্দ্র রুদ্রকে মুঠোফোনে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, যদি কোন প্রতিষ্ঠান অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে থাকে তাহলে অবশ্যই ঠিক কাজ করেনি। কোন ভাবেই সরকারের নির্দেশনা উপেক্ষা করা যাবেনা, আমি অবশ্যই ওইসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে খোজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *