Type to search

অভয়নগরে ধান কাটাকে কেন্দ্র করে সংখ্যালঘুদের উপর নির্মম নির্যাতনে মামলা

অভয়নগর

অভয়নগরে ধান কাটাকে কেন্দ্র করে সংখ্যালঘুদের উপর নির্মম নির্যাতনে মামলা

 স্টাফ রিপোর্টারঃ

যশোরের অভয়নগর উপজেলায় ধান কাটাকে কেন্দ্র করে নিয়ে সংখ্যালঘুদের উপর নির্মম নির্যাতনে ঘটনা মামলা হয়েছে। গত শুক্রবার (২৯ এপ্রিল ) সকাল ১০টায় উপজেলার সিঙ্গাড়ী গ্রামের জখোলা খালের পাশে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন মৃত ক্ষীতিশ মল্লিক স্ত্রী ও চার ছেলে জগন্নাথ মল্লিক(৪৫) বলরাম মল্লিক৪০) কৃষ্ণ মল্লিক(৩৮) ধনী মল্লিক(৩০)। আহত ধনী মল্লিক জানান, জখোলা খালের পাশে অবস্থিত সিঙ্গাড়ী মৌজার ৯৩.২৭ শতক ধানের জমির ফুলতলা উপজেলার খানাহানপুর গ্রামের মৃত আশরাফ শেখের ছেলে শেখ আরিয়ান হোসেন(৬০) সহ তার তিন বোনের কাছ থেকে ২০২০ সালে ক্রয় করেন। ক্রয়সূত্রে এই জমির মালিক জগন্নাথ মল্লিকেরা চার ভাই। তারা একত্রিতভাবে জমি চাষাবাদ করে খেয়ে আসছিলেন। ২৯ এপ্রিল ধনী মল্লিক, কৃষ্ণ মল্লিক, জগন্নাথ মল্লিক ও বলরাম মল্লিক জমির ধান কাটতে গেলে বাঘুটিয়া ইউনিয়নের সিংগাড়ী গ্রামের মৃত জামাল মোল্লার ছেলে নিজাম মোল্লা (৫৫)তার স্ত্রী তাসলিমা বেগম(৪৮) দুই ছেলে সবুজ মোল্লা(৩০) আজম মোল্লা (২৮)একই গ্রামের আব্বাস সরদার এর ছেলে এরশাদ সরদার(৩৫) ও মিলন সরদার (৩২),মৃত সাহেব আলী ছেলে আহাম্মদ আলী (৫০),বিল্লাল মোল্লার ছেলে আনারুল মোল্লা (১৮),মৃত ছবেদ মোল্লার ছেলে আফসার মোল্লা (৬০)সহ বেশ কয়েকজন আসে তাদের হাতে ধারালো হাসুয়া, দা, শাবল, লোহার জিআই পাইপ ও লাঠিসোটা নিয়ে জমির মধ্যে প্রবেশ করে আমাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এসময় তাদের কথায় আমার দাদা জগন্নাথ প্রতিবাদ করলে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারাত্মক আঘাত করে রক্তাক্ত করে। পরে আমরা বাধা দিলে আমাদেরও এলোপাতাড়িভাবে মারতে থাকে।আমার মা ঠেকাইতে আসিলে তারা মাকেও মারতে থাকে। জীবন বাঁচানোর জন্য চিৎকার দিলে স্থানীয় জাহিদুল ও সিদ্দিক ও আরো অনেক লোকজন আগাই আসলে তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।স্থানীয়রা আমাদেরকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে-কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। এরমধ্যে জগন্নাথ এবং কৃষ্ণের অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করে রাখা হয় । এ বিষয়ে অভয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম শামীম হাসানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার কাছে অভিযোগ আসলে তদন্তের জন্য এস আই (সাব ইন্সপেক্টর) মোকলেছুর রহমানকে দেওয়া হয়েছে। তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোকলেছুর (সাব ইন্সপেক্টর) রহমান বলেন,এ ঘটনাই ২ মে একটি মামলা হয়েছে। আটকের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত কেউ আটক হয়নি।