৯০-এর দশকে কোথায় ছিলেন দেবাশিষ প্রামানিক?
রাজশাহি জেলা প্রতিনিধিঃ ৯০-এর সৈরাচার বিরোধী আন্দোলন করেছি রাজপথে থেকে,শুধু তাই নয় পরবর্তীতে খালেদা পতন আন্দোলনেও ছিলাম রাজপথে ছাএলীগের সেল্টু ভাই, জোবায়ের হোসেন(রুবন)ভাই, হাবিবুর রহমান (বাবু) ভাই, মির্জা মোঃশাহীন শাহ আলী(শোভা)ভাই, নাঈমুর হুদা(রানা)ভাই, ডাবলু সরকার ভাই, মোঃমাসুদ রানা(শাহীন)ভাই, জুরাদ ভাই,,বকুল ভাই, মুকুল ভাই সহ আরো অনেক বিপদ কালীন সময়ের আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে। ১৯৮৯ইং থেকে ২০০৪ইং পর্যন্ত ছিলাম তাদেরই সাথে। নিজ পারিবারিক ও নিজ এলাকায় একটি সমস্যা(রক্তপাত এড়ানো জন্য)তৈরী হওয়ায় ঘর থেকে বেড়িয়ে আসতে হয় তখন আমাদের ৭জনকে। গঠন করি ওয়ার্কার্স পার্টি। দীর্ঘ ১২টি বছর পরে যখন আবার ঘরে ফিরে যাই তখন ষড়যন্ত্র শুরু করলো ওয়ার্কার্স পার্টির সেই কিছু হাইব্রীড নেতা গুলি।
ভাবতে অবাক লাগে নিজ ঘর আওয়ামীলীগ থেকে রাগ করে বেড়িয়ে এলাম অথচ আব্বা কিছুই বললো না। অথচ ভাইয়ের কাছ থেকে(ওয়ার্কার্স পার্টি) বেড়ানো মাএ শুরু হয়ে গেলো ষড়যন্ত্র। আর এদিকে আব্বা ( আওয়ামী লীগ) ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে আসা মাএই জরিয়ে ধরে কাদতে লাগলো । তাই ঘর ছাড়া কোথাও শান্তি নেই সেটা আবার প্রমানিত হলো।
এই সেই দেবাশিষ প্রামানিক দেবু যিনি কর্মীর মাথা বিক্রি করে চালান তার রাজনীতি। তার অপকর্মের রয়েছে সু- বিস্তর কাহিনী।তিনি রাজশাহী মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক। যার রয়েছে ক্যাডার বাহিনী। তার নিজ কথায় চলে দল। তিনি যা বলবেন সেটাই গঠনতন্ত্র। কমিটি হবে তার মতে অর্থাৎ পকেট কমিটি।ফেইজ বুকে তাকে নিয়ে লিখলেই চলে হুমকী-ধামকী।এমনকী গঠনতন্ত্র বিরোধী কিছু করলেও তা লেখা যাবে না।লিখলে তার ক্যাডার বাহিনী পাঠিয়ে কর্মীদের ঘর থেকে বের করে এনে করা হয় কঠিন নির্যাতন । তাই তার বিরুদ্ধে লিখলেই তিনি সেটা দলের বিপক্ষে লেখা বলে কান ভারী করেন শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের ।এই মহান নেতার সাথে রয়েছে অনেকেই যারা তার কথা মতো খুব সুন্দর করে মিথ্যা কথা সাজিয়ে উপস্থাপন করান তার নেতার কাছে। শুধু তাই নয়,,তার উপরে ওঠার জন্য নিয়ম-নীতি তুয়াক্কা না করে বানানো হয়েছিল অসভ্য কে সভ্য । নিরবে খুব ঠান্ডা মাথায় অর্থ নেন কর্মীদের কাছ থেকে।কেউ কিছু বলতে গেলেই হয় বহিষ্কার অথবা নির্যাতিত । তার এমন বলির পাঠা হয়েছেন দলের অনেক বাঘা-বাঘা নেতা।
এবার আমার পিছনে লেগেছে, আমাকে মাদক ব্যবসায়ী বানিয়েছে, চোরাকারবারী বানিয়েছে । শুধু তাই নয় আমাকে নাকি বহিষ্কার করেছে । এখন প্রশ্ন হলো আমাকে বহিষ্কার করেছে কবে ? আর আমি পদত্যাগ ও দলহতে অব্যহতি দিয়েছি কবে ? আমি গত ১৭ মার্চ দল থেকে অব্যাহতি চেয়ে চিঠি দেই। গ্রহণ করা আর, না করা তাদের ব্যাপার । আমি তো কারন দেখিয়ে অব্যহতি নিয়েছি।তবে কেন আমার বিরুদ্ধে এতো মিথ্যা প্রপাকান্ডা? মিথ্যা মামলা দিয়ে সয়ং দেবাশিষ প্রামানিক দেবু এখন বানাচ্ছে মাদক ব্যাবসায়ী।অথচ এই দেবুই রাজশাহীর মহা-সমাবেশের আটো ভাড়া ও খাওয়ার ২৫,০০০/= টাকা আজও দেয়নি, মেরে দিয়েছে।আমার যখন চাকুরী হয় তখন ৪(চার) লক্ষ টাকা নিজ বাসায় একা ডেকে নিয়ে বসিয়ে নিয়ে বলেছিলেন বিষয়টি কেউ না জানে।সেই সময় ১০০০টাকার নোট উঠে নি।আমি ৫০০/=টাকার বান্ডিল ৮টি দিয়ে ছিলাম।কোন সাক্ষি ব্যতিত।১২টি বছর তার অনিয়ম নিয়ম বানিয়ে চালানো যে প্রবনতা তা থেকে যখন ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে গেছি তখন আমাকে নিয়ে অপপ্রচারে নেমেছেন তিনি। শুধু মাএ একটি কারণে তার নথি যেন ফাস না হয়। আমাকে মাদক ব্যবসায়ী বানালেন ঠিক আছে,,আপনার ও আপনার পাশের জাহিদ, শিশির, বাবুর রক্তটা পরীক্ষা করে রিপোর্ট জন সম্মূখে প্রকাশ করুন তাহলেই বেড়িয়ে যাবে আসলে কে মাদক ব্যাবসায়ী আর কে মাদক সেবী?তারপরেও শুভ কামনা রইলো আপনাদের সকলের প্রতি। আপনারা সবাই ভালো থাকবেন। আর যেহেতু বলছেন যে আমাকে বহিষ্কার করেছেন দয়া করে আমাকে নিয়ে মিথ্যা প্রপাকান্ডা থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করছি। আমি ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে গেছি।