৯০- এর দশকের আর একজন ত্যাগী নেতা মোঃ মাসুদ রানা শাহিন কে তা নতুন প্রজন্ম জানতে চায়
রাজশাহী প্রতিনিধি ঃ রাজনৈতিক পরিচয় ঃ মাসুদ রানা (শাহিন) ১৯৮৭ সালে ১৬নং ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদ ছিলেন (উপশহর)। ১৯৮৮ সালে মহানগর ছাত্রলীগের এডহক কমিটির সদস্য ছিলেন। ১৯৮৯-১৯৯০ সালে মহানগর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেন। পরে তিনি ১৯৯১-১৯৯২ সালে মহানগর কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন। ১৯৯৩-১৯৯৪ সালে মহানগর ছাত্রলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক পদে নিযুক্ত ছিলেন। ১৯৯৫-১৯৯৬ সালে মহানগর ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিল বলে জানান। ১৯৯৮-২০০০ সাল পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত সাধারণত সম্পাদকের দ্বায়িত্ব পালন করেন। ২০০০ সালে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারন সম্পাদকের দ্বায়িত্ব পালন করেন যেটি আজো আছেন।
২০০১ সালে শ্রমিক সংগঠনে পদর্পন করেন। ২০০৪ সালে রাজশাহী রিক্সা – ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ম আহ্বায়ক হন কিন্তু বি এন পির যোট সরকার তার ওপরে অনেক ভাবে অত্যাচার করে শুধু তিনি ছাত্রলীগ কর্মী ছিলেন তাই। শুধু তাই নয় মাসুদ রানা( শাহিন) কে অস্ত্র মামলায় জড়িয়ে দেন ক্ষমতার দাপটে বি এন পির নেতাকর্মীরা। ২০০৭-২০০৮ সালেজাতীয় রিক্সা-ভ্যান শ্রমিক লীগের রাজশাহী মহানগরের যুগ্ম আহ্বায়ক। ২০০৮ সালে মেয়র নির্বাচনে ১৫ নং ওর্যাডে তালা প্রতিকে নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন। ২০১০-২০১১ সালে রাজশাহী মহানগর রিক্সা-ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের বিপুল ভোটে নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেন। ২০১৩-২০১৪ সালে রাজশাহী রিক্সা – ভ্যান শ্রমিকলীগের সাধারন সম্পাদক রাজশাহী মহানগর। এছাড়াও সাবেক কার্যনির্বাহি কমিটির সদস্য বাংলাদেশ কৃষকলীগ রাজশাহী জেলা। এখন তিনি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বোয়ালিয়া থানা পশ্চিম বাংলাদেশ আওয়ামিলীগ রাজশাহী মহানগর। রাজশাহী জেলা মিশুক সি.এন.জির মালিক সমিতির সাধারন সদস্য। সাবেক অটো রিক্সা মিশুক সি.এন.জি শ্রমিক ইউনিয়নের উপদেষ্টা। শালবাগান বাজার উন্নয়ন কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক রাজশাহী কাচা ফলের আরৎদার নিয়ন্ত্রণ কমিটির সহসভাপতি। ৮০ ও ৯০- এর দশকে এই ত্যাগী নেতা গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক কার্যক্রম আজকের তৃণমূলের কর্মীদের ও নতুন প্রজন্মকে জাগ্রত করে। একজন মুজিব আদর্শের ত্যাগী এই নেতা মোঃ মাসুদ রানা (শাহীন) তার সাংগঠনিক কার্যক্রম ও দলকে সু-সংগঠিত করে বিভিন্ন সময় তিনি দলের জন্য যে শ্রম বিপদকালীন সময়ে দিয়ে গেছেন তা প্রসংসার দাবী রাখে।নির্যাতিতও হয়েছেন বারংবার, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে রেখেছেন বিশেষ ভুূমিকা এবং খালেদা পতন আন্দোলনেও রেখেছেন অনন্য ভূমিকা। তাদের ত্যাগের ওপরে দাড়িয়েই আমরা আজকে রাজনীতি করছি। এখন সময় এসেছে মোঃমাসুদ রানা শাহীন এর মতো ত্যাগী নেতাদের সামনের সাড়িতে নিয়ে আসা। ৯০-এর দশকের সবচেয়ে বিপদ কালিন সময়ের আওয়ামীলীগের জন্য শাহীন যে ত্যাগ স্বীকার করে রাজনীতি করেছেন, তা অত্যান্ত প্রশংসনীয়। দুঃখ জনক হলেও সত্য এই ত্যাগী নেতাদের ঋণ কিছুটা হলেও শোধ করার সময় পেয়েছিলাম আমরা। কিন্তু আজকে আওয়ামী লীগ ১২(বার) টি বছর আওয়ামী লীগ আমরা ক্ষমতায় থাকার পরেও তাদের মূল্যায়ন কেন করতে পারলাম না? এটা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের তৃণমূলের কর্মীদের প্রশ্ন? এই ত্যাগী নেতারা কোন পদ-পদবীর জন্য কোন দিন রাজনীতি করেননি, তারা পদ-পদবীর পরোয়াও করেন না। এখনো মুজিব আদর্শকে বুকে নিয়ে রাজনীতি করে চলেছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রীর শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষে। নাই কোন অভিযোগ, নাই কোন অভিমান। কিন্তুু আওয়ামী লীগকে আরো সু-সংগঠিত ও সাংগঠনিক ভাবে আরো শক্তিশালী করতে হাইব্রিড দের বাদ দিয়ে মোঃমাসুদ রানা শাহীন এর মতোন ত্যাগী নেতাদের গুরুত্বপূর্ণ পদ দিয়ে রাজশাহী মহানগর কমিটিতে সামনে আনার কোন বিকল্প নাই বলে জানান রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা।