Type to search

২৯ বৎসরের অভিশপ্ত এক উচ্চ শিক্ষা ব্যবস্থা”বেসরঃঅনার্স-মাস্টার্স শিক্ষা ব্যবস্থা”

জাতীয়

২৯ বৎসরের অভিশপ্ত এক উচ্চ শিক্ষা ব্যবস্থা”বেসরঃঅনার্স-মাস্টার্স শিক্ষা ব্যবস্থা”

Inbox
x
ডেক্স রিপোট
শ্রমিকের গায়ের ঘাম শুকানোর পূর্বেই তার মজুরী নিশ্চিত করা নাকি প্রতিটি ধর্মের মানুষের অন্যতম বাধ্যতামূলক কাজ। অথচ স্বাধীনতার ৪৮বৎসর পরও   একটি দেশে নাকি নীয়ম করে  মজুরী যৎসামন্য/ক্ষেত্র বিশেষ সম্পূর্ণ বিনা বেতনে দীর্ঘ ২৯বৎসর খাটানো হয়।বিষয়টি যথেষ্ট স্তম্ভিত হওয়ার কারন এরা সবাই রাষ্ট্রের  সর্বোচ্চ শিক্ষাস্তর স্নাতক(সম্মান) ও স্নাতকউত্তর শ্রেণীর শিক্ষক। পৃথিবীতে এমন বিরল প্রজাতির উচ্চ শিক্ষা স্তরের শিক্ষক সম্ভবত বাংলাদেশ ভিন্ন অন্য কোন দেশে বর্তমান নেই।
১৯৯৩সাল থেকে বেসরঃmpoভুক্ত প্রতিষ্ঠান এ শিক্ষা স্তর চালু করা হয়। এখন পর্যন্ত এ স্তরে প্রতি ৫ বৎসর অন্তর-অন্তর  ৪লক্ষাধিক শিক্ষার্থী স্নাতক ও স্নাতকউত্তর ডিগ্রি সুসম্পন্ন করে এবং প্রায় হাজার ৪শিক্ষক বর্তমানে এ স্তরের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত আছেন। খোঁজ নিয়ে জানাযায় ঐ শিক্ষক বৃন্দের অধিকাংশই  নাকি ২০০০-৮০০০টাকা কলেজে  সম্মানি পান।আবার কোন-কোন কলেজ নাকি কোন সম্মানি দিতেই অস্বীকার করে। এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শিক্ষক যিনি দীর্ঘদিন  এ স্তরের mpoদাবি আদায়ে বাংলাদেশ নিগৃহীত অনার্স-মাস্টার্স  শিক্ষক সংগঠন নামের একটি সংগঠনে কাজ করছেন তিনি জানান , এ সকল শিক্ষককে জনবলে অন্তর্ভুক্তির দোহাই দিয়ে অত্যন্ত সুকৌশলে  এ দীর্ঘ সময় mpoবঞ্চিত রাখা হয়েছে। শুধু তাই নয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের বেতনের দায় কলেজ প্রশাসনের উপর বর্তানোতে শিক্ষক -শিক্ষার্থী উভয়ই চরম নিগৃহের শিকার হচ্ছে। শিক্ষকদের বেতনের দোহাই দিয়ে অধিকাংশ কলেজ প্রশাসন উচ্চ মূল্যের  টিউশন ফি ধার্য করছে। সেটি অধিকাংশ ক্ষেত্রে ৫০০-১০০০টাকা পর্যন্ত আছে।অথচ সরকারি কলেজে একই স্তরে টিউশন ফিস মাত্র ২৫ টাকা কিন্তু কেন এই বৈষম্য এবং আর কতকাল? এটিই এখন তাদের এখন একমাত্র প্রশ্ন।এদিকে সরকারি কলেজে সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে বর্তমানে বেসরঃকলেজে শিক্ষার্থী ভর্তিও যথেষ্ট চ্যালেঞ্জ হয়ে দাড়িছে। এ বিষয়ে অন্য একজন শিক্ষক নেতা মিল্টন রায়(সম্পাদক, অমানিশিপ)বলেন,একই ভাবে একই প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়েও আমরা mpoনা পাওয়ায় কলেজে একজন ৪’থ শ্রেণির কর্মচারীর কাছ থেকেও সময়ে-সময়ে অস্মানিত হতে হয়।অথচ আমরা নাকি সম্মান শ্রেণির শিক্ষক!  তিনি অরো বলেন,আমাদের মানতে কষ্ট হয়-যে দেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি থেকে মুক্তামনির দূরাগ্য ব্যধি,অসহায় রোহিঙ্গা মায়ের মুখ,স্বাধীনতার ৪৬বৎসর পরও যুদ্ধাপরাধের বিচার কিছুই এড়ায় নি সে দৃষ্টিতে  ২৯টি বৎসরের সম্মান শ্রেণির সীমাহীন এ অসম্মান এখনও তাঁর সুদৃষ্টি পায়নি! তাদের বিশ্বাস মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মাতৃত্বময় কোমল অনুভূতি দিয়ে বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এ স্তরের  শিক্ষকবৃন্দের মুক্তিতে হয় mpo,নয় বাকি সকল অনার্স কলেজে জাতীয়করণ ঘোষণা করবেন।