কথাগুলো ষষ্ঠ শ্রেণির এক কন্যা শিশুর। গেলো ২৪শে মে-বগুড়ার এই শিশুটি এমন চিরকুট লিখেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
শিশুমনে এমনই বিকৃত প্রভাব অনলাইন ভিত্তিক বিদেশি গেমস পাবজি এবং ফ্রি-ফায়ারের। বগুড়ার পাড়ায়-মহল্লায় দিন-রাত এসব গেমসে মেতে থাকছে তৃতীয় থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিশু-কিশোররা।
অভিভাবকরা বলছেন, দেশে চলা সরকারি বিধিনিষেধে এই মাত্রা বেড়েছে কয়েকগুণ। অনলাইন ক্লাসের কারণে শিশুদের হাতে দিতেই হচ্ছে স্মার্টফোন। আর এই সুযোগে তারা ঝুঁকছে ভিডিও গেমসে।
শিক্ষকরা বলছেন, সুস্থ ধারার সাংস্কৃতিক চর্চার অভাবে শিশুকালেই নৈতিক অবস্থান হারাচ্ছে বর্তমান প্রজন্ম। অন্যদিকে পুলিশ বলছে, গেমসে আসক্তি বাড়িয়ে তুলছে শিশুকিশোরদের অপরাধপ্রবণতা।
বগুড়া বিআইআইটি’র অধ্যক্ষ প্রকৌশলী মোহাম্মদ সাহাবুদ্দীন সৈকত বলেন, “সমাজে যারা আছেন তাদের সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টার মাধ্যমেই আসলে শিক্ষার্থীদের এ আশক্তি থেকে বের করে আনার চেষ্টা করতে হবে।
বগুড়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আলী আশরাফ ভূঞা বলেন, আইন করে এই গেম প্রবণতা বন্ধ করা খুব জটিল, এখনে পরিবারের বড় দায়িত্ব রয়েছে।
এ অবস্থায় বিশেষজ্ঞদের মত, শিশুদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলা, অন্যান্য খেলায় মনোনিবেশ করা ও সৃজনশীল কাজে যুক্ত করা ঠেকাতে পারে এই আসক্তি। সূত্র, ডিবিসি নিউজ