Type to search

সেতু ভেঙে দুর্ভোগে ৬ গ্রামের মানুষ

জাতীয়

সেতু ভেঙে দুর্ভোগে ৬ গ্রামের মানুষ

অপরাজেয়বাংলা ডেক্স: টাঙ্গাইলের নাগরপুরে নোয়াই নদীর উপর নির্মিত সেতু ভেঙে পড়ায় চার বছর ধরে ছয় গ্রামের মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। শুষ্ক মৌসুমে শুকিয়ে যাওয়া নদীতে বিকল্প রাস্তা তৈরি করে চলাচল করলেও প্রতি বর্ষায়ই চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয় ওই ছয় গ্রামের হাজার হাজার মানুষের।

বিহালী খামার গ্রামের মাসুদ রানা, আব্দুর রহমান, গোলজার হোসেনসহ অনেকেই জানান, সেতুটি নির্মাণের পর ছয় থেকে সাত বছর পারাপারের উপযুক্ত ছিল। ২০১৭ সালে বর্ষায় প্রথমে সেতুর উত্তর পাশের একটি অংশ সামান্য দেবে যায়। স্থানীয়রা দাবি জানালেও কর্তৃপক্ষ তা মেরামত করেনি। পরের বছর বর্ষায় ভিমসহ সেতুর মধ্যাংশ নদীতে দেবে যায়। ২০১৯ সাল থেকে প্রতি বর্ষায় এক বাঁশের সাঁকো ও শুকনো মৌসুমে চলাচলের জন্য নদীর উপর রাস্তা তৈরি করে চলাচল করতে হচ্ছে। এতে এলাকাবাসী চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।

কাশিনারা গ্রামের শাহ আলম, রহিম মিয়া কালাচাদ মিয়া জানান, সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় আশপাশের ছয় গ্রামের মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। শত শত কৃষক তাদের উৎপাদিত ফসল বাজারে উঠাতে না পেরে কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হন। বেশি ভাড়া দিয়ে ঘোড়ার গাড়িতে কৃষিপণ্য বাজারে নিয়ে সঠিক দামে বিক্রি করতে না পেরে আবার বেশি ভাড়ায় ফিরিয়ে আনতে হয়।

নাগরপুর উপজেলা প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, ২০০৮ সালে ভাদ্রা-বিহালী খামার সড়কে নোয়াই নদীর ওপর নির্মিত সেতুটি ২০১৭ সালে বন্যায় ভেঙে পড়ে। ভেঙে যাওয়া সেতুটি সংস্কারের সুযোগ নেই। আগে ভেঙে যাওয়া সেতুটি অপসারণ করতে হবে। পরে নতুন সেতু নির্মাণের প্রস্তাব পাঠানো হবে।সূত্র, বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম