Type to search

সপ্তাহ জুড়ে আবহাওয়া মেঘাচ্ছান্ন থাকার আভাস

আবহাওয়া

সপ্তাহ জুড়ে আবহাওয়া মেঘাচ্ছান্ন থাকার আভাস

যশোরে হাঁড় কাঁপানো শীতে কাহিল জনজীবন। সারাদিনেও দেখা মেলেনি সূর্যের। মাঝে মাঝেই হয়েছে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি। শনিবার যশোরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মেঘ ও কুয়াশায় ঢেকে ছিল গোটা দেশ। সপ্তাহ জুড়েই এ অবস্থা চলবে বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে। তারা বলেছেন, রাতের চাইতে দিনের বেলা বেশি শীত অনুভূত হবে। কারণ রাতে তাপমাত্রা বেশি থাকবে। অবশ্য এদিন যশোর থেকে বিমান চলাচল ছিল স্বাভাবিক।
যশোর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার থেকে যশোরে তাপমাত্রা কমতে শুরু করে। শুক্র ও শনিবার এ অবস্থা চরম পর্যায়ে এসে পৌছায়। তবে সে তাপমাত্রা ১০ ডিগি সেলসিয়াসের নীচে না নামলেও পশ্চিমা বায়ূর আধিক্যের কারণে শীত অনুভূত বেশি হচ্ছে। এ কারণে প্রচন্ড শীতে মানুষ জুবুথুবু হয়ে পড়েছে। সূত্র জানায়, শনিবার ভোর ৬টায় যশোরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও দুপুর ২টায় ছিল ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড় জেলার তেতুলিয়ায় ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগেরদিন শুক্রবার যশোরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিনও দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল তেতুলিয়ায়।
এদিকে, পশ্চিমা বায়ূর আধিক্যের কারণে গোটা দেশেই প্রচন্ড শীত অনুভূত হচ্ছে। এ কারণে দেশের তিনটি বিভাগ খুলনা, বরিশাল ও ঢাকার উপর দিয়ে মৃদ্যু শৈত্য প্রবাহের মত বাতাস বয়ে যাচ্ছে। এ জন্য তিনটি বিভাগ জুড়েই আকাশ মেঘলা ও কুয়াশা রয়েছে। একইসাথে বিভাগগুলো জুড়েই গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। অবশ্য এর প্রভাব পড়েছে গোটা দেশেই। দেশ জুড়েই শনিবার মেঘলা ও কুয়াশা ছিল।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, যশোর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় ৩০ থেকে ৬০ কিলোমিটারের মধ্যে শনিবার মাঝে মাঝে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিপাত হয়েছে। এছাড়া ঘন্টায় পাঁচ থেকে সাত কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে গেছে। মাটি থেকে আকাশের আট হাজার ফুটের মধ্যে মেঘলা ছিল ও পাঁচ হাজার ফুটের মধ্যে হালকা ও মাঝারি ধরণের কুয়াশা ছিল। আজ রোববার পরিস্থিতি একই থাকলেও সোমবার তাপমাত্রা আরো কমবে। অবশ্য মঙ্গলবার থেকে শীত কমতে শুরু করবে। চলতি সপ্তাহ জুড়েই এ অবস্থা চলবে বলে আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন। তারা আরো জানিয়েছেন, এ সময়ে দিনের তাপমাত্রা কম থাকলেও রাতে বাড়বে তাপমাত্রা। এ কারণে রাতে শীত অনুভূত কম হবে। আর দিনে বাতাস ও তাপমাত্রা কম থাকায় শীত অনুভূত বেশি হবে।
এদিকে, শনিবার সকাল থেকে সারাদিনই যশোরে সূর্যের দেখা পাওয়া যায়নি। এরমধ্যে দুপুর ১২টায় ও ২টায় গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিপাত হয়েছে। দিনেরাতে পড়েছে হাঁড় কাঁপানো শীত। স্থবির হয়ে পড়েছে জীবনযাত্রা। এদিন শীতে কাতর মানুষ প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া ঘরের বাইরে বের হননি। শুধুমাত্র শ্রমজীবী মানুষেরা কাজে নেমেছেন। অবশ্য প্রচন্ড শীতে ছিন্নমূল মানুষের অবস্থা কাহিল ছিল। তাদের কাছে পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র না থাকায় তারা খোলা রাস্তার পাশে থেকে রাতে শীতে কষ্ট পেয়েছেন। এ কারণে শহরে মানুষের উপস্থিতি কম ছিল। দোকানপাট খোলা থাকলেও বেচাকেনা কম হয়েছে।
এদিকে, আকাশ মেঘলা ও কুয়াশা থাকার পরও যশোর থেকে বিমান চলাচল স্বাভাবিক ছিল। সকাল সাড়ে ৭টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত বেসরকারি এয়ারলাইন্সের সব বিমান যশোর থেকে চলাচল করেছে। এ ব্যাপারে যশোর বিমানবন্দরের নোভো এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, শনিবার তাদের এয়ারলাইন্সের সব বিমান সঠিক সময়ে যশোর থেকে চলাচল করেছে। মেঘলা আবহাওয়া ও কুয়াশায় তাদের কোন সমস্যা হয়নি। উপরে কুয়াশা কম থাকার কারণে তাদেরকে সমস্যায় পড়তে হয়নি বলে তিনি জানান।