Type to search

সর্বকালের সেরা মেসিকে দুয়ো দেয় কীভাবে?

আন্তর্জাতিক

সর্বকালের সেরা মেসিকে দুয়ো দেয় কীভাবে?

বোর্দোর বিপক্ষে গত সপ্তাহে ঘরের মাঠে পিএসজির ৩–০ গোলের জয়ের ম্যাচে মেসিকে দুয়ো দেন পিএসজি সমর্থকেরা। ক্লাবটির সমর্থকদের চরমপন্থী গোষ্ঠী ‘কালেকটিফ আল্ট্রাস পারিস’ এক বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছিল ম্যাচে কী ঘটতে যাচ্ছে, ‘আমাদের প্যারিস সেন্ট জার্মেইয়ের এমন খেলোয়াড় দরকার, যারা দলের সেবা করে, দল থেকে শুধু সেবা নেয় না। বোর্দোর বিপক্ষে আমরা অসন্তোষ জানাব এবং এই ক্লাবকে যারা ভালোবাসে, যারা উপস্থিত থাকবে, তাদের সবাইকে আমাদের অহিংস কর্মসূচিতে যোগ দিতে আহ্বান জানাচ্ছি।’

 

বোর্দোর বিপক্ষে ভক্তদের দুয়ো শুনেছেন মেসি

ম্যাচের শুরুতে যখন একাদশ ঘোষণা করা হয়ে, তখন এমবাপ্পের নাম শুনে সমর্থকেরা তালি দিয়েছেন। আর নেইমার ও মেসিকে দুয়ো দেওয়া হয়। ম্যাচে যতবারই এ দুই তারকা বল স্পর্শ করেছেন, দুয়ো দেওয়া হয়। সমর্থকদের অসন্তোষ আরও ভালোভাবে বোঝা গেছে ২১ মিনিটে।

 

ফ্রি–কিক নেওয়ার জন্য দুই তারকা একসঙ্গে দাঁড়িয়েছিলেন। পার্ক দে প্রিন্সেসের গ্যালারি থেকে ভেসে আসা দুয়োতে মনে হচ্ছিল, প্রতিপক্ষের মাঠে খেলছে পিএসজি।

দুই লেগ মিলিয়ে ৩–২ গোলে জেতে রিয়াল। পিএসজির অনেক সমর্থকই মনে করেন, প্রথম লেগে মেসি গোল করতে পারলে পিএসজির কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার সুযোগ থাকত।

সে যা–ই হোক, বোর্দোর বিপক্ষে মেসিকে পিএসজি সমর্থকদের দুয়ো দেওয়া ভালো লাগেনি আর্সেনাল ও ফরাসি কিংবদন্তি থিয়েরি অঁরির। ‘আমাজন প্রাইম এফআর’কে অঁরি বলেছেন, ‘গত সপ্তাহে পিএসজি সমর্থকেরা মেসিকে দুয়ো দেয়। সর্বকালের সেরাকে দুয়ো দেয় কীভাবে? লিগ ওয়ানে সে সর্বোচ্চ গোল বানিয়ে দিয়েছে। আজ কিন্তু মেসিকে ছাড়া তারা কোনো সুযোগই তৈরি করতে পারেনি।’

লিগ ওয়ানে এ মৌসুমে ১০টি গোল বানিয়ে দিয়েছেন মেসি, এ মৌসুমে যা যুগ্মভাবে সর্বোচ্চ। তবে ৩৪ বছর বয়সী আর্জেন্টাইনের গোল করার ধার কমেছে। পিএসজিতে যোগ দেওয়ার আগে বার্সার হয়ে শেষ মৌসুমে করেছিলেন ৪৭ ম্যাচে ৩৮ গোল।

 

ফ্রান্সের সাবেক ফরোয়ার্ড থিয়েরি অঁরিপিএসজিতে এসে এবার প্রথম মৌসুমে ২৬ ম্যাচে মেসির গোলসংখ্যা ৭। এমবাপ্পে ১৫ গোল নিয়ে লিগের এই মৌসুমে তৃতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা। ফরাসি তারকা এখন সমর্থকদের চোখের মণি। অথচ গত আগস্টে মেসিকে বরণ করে নেওয়ার রাতে এই এমবাপ্পেকেই দুয়ো দিয়েছিলেন পিএসজি সমর্থকেরা! কারণ? পিএসজির সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে তখন রাজি হচ্ছিলেন না এমবাপ্পে।

 

সূত্র: প্রথম আলো

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *