Type to search

শিশুদের চিন্তা শক্তি বৃদ্ধিতে কোডিং যুগান্তকারি পদক্ষেপ

প্রযুক্তি

শিশুদের চিন্তা শক্তি বৃদ্ধিতে কোডিং যুগান্তকারি পদক্ষেপ

লাবনী সাহা
শিশুদের হাতে কম্পিউটার,ল্যাপটপ ,মোবাইল বা ইলেকট্রনিক ডিভাইস নতুন কোন বিষয় নয়। কিন্তু শিশুদেরকে কোডিং বা প্রোগ্রামিং শেখানোর অর্থ এই নয় যে বাচ্চারা বিজ্ঞানী,কোডার বা প্রোগ্রামার হবে যেমন গণিত শিখে কিন্তু সবাই গণিতজ্ঞ হয় না। তাহলে প্রশ্ন আসতেই পারে আমরা কেন বাচ্চাদের গণিত শেখাই?কেন শেখাই জ্যামিতিক বিষয়গুলো?কারণ এগুলো শিশুদের চিন্তাশক্তির বিকাশ ঘটিয়ে শিশুকে ভাবতে শেখায়,তাৎক্ষনিক লাভের আশাতে শিক্ষালাভ করা যায় না।কোডিং হলো নতুন যুগের হাতিয়ার। শিশুরা স্ক্যাচের বিড়াল নাচাতে নাচাতে প্রবলেম সলভিং শিখে যাবে এবং তারা প্রতিকূলতা জয় করতে শিখে যাবে।তাদের বুদ্ধির বিকাশ ঘটবে এবং গাণিতিক ও যৌক্তিক চিন্তার শক্তি বৃ্দ্িধ পাবে। এ বছর থেকেই প্রাথমিকের বিজ্ঞান বইয়ে যুক্ত হচ্ছে স্ক্যার্চ প্রোগ্রামিং।ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের ১৩টি জেলার ২২ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রশিক্ষণ,ক্যাম্পিং,চলছে গবেষণা। শিশুরা কেমন ভাবে নিচ্ছে স্ক্যার্চের কোডিং শেখা কে।ভাবছেন কিভাবে সব শিশুদের হাতে কম্পিউটার পৌছাবে??প্রয়োজন নেই সব শিশুর নিজস্ব কম্পিউটার বা ল্যপটপের। বিদ্যালয়ের ল্যাপটপে দলে ভাগ হয়ে প্রত্যেকে এই স্ক্যার্চের বিড়াল নাচানোর সুযোগ পেলেই হলো,দেখবেন ওরাই করে ফেলবে বাজিমাত। এছাড়া বর্তমান সরকারের উদ্যোগে স্ক্যার্চের বাংলা বই ও বাজারে পাওয়া যাচ্ছে।যে কেউ এই বই দেখে শিশুদেরকে শেখাতে পারেন কোডিং বা স্ক্যার্চ প্রোগ্রামিং। সব শিশুকে প্রোগ্রামার বানাতে নয় বরং শিশুদের ছোট থেকেই লজিক বিল্ডিং,প্রব্লেম সলভিং,ক্রিটিক্যাল থিংকিং এর মত বিষয়গুলো খেলার মাধ্যমে চর্চা করার সুযোগ থেকে যেন বাংলাদেশের শিশুরা বঞ্চিত না হয় সেই উদ্দেশ্য নিয়ে তৈরি বিশ্বখ্যাত এমআইটির একটি প্রজেক্ট এই স্ক্যার্চ প্রোগ্রামিং।বাংলাদেশের শিশুদের মধ্যে এই ধারণা ঢুকিয়ে আর তাতে আনন্দ যোগ করে খেলাচ্ছলে কম্পিউটারের কার্যকর ব্যবহারে অভ্যস্ত করে তুলতে এটা একটি যুগান্তকারী উদ্যোগ।বাংলাদেশের শিশুরা ২০৪১ সালের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় যোগ্য নাগরিক হওয়ার লড়াইয়ে জিতবেই।

লেখকঃ লাবনী সাহা
সহকারী শিক্ষক
৪৫নং মধ্যপুর সরকারি প্রাথমিক
অভয়নগর,যশোর।

 

 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *