Type to search

রোহিঙ্গাদের বাদ রেখেই মিয়ানমারে নির্বাচন আজ

আন্তর্জাতিক

রোহিঙ্গাদের বাদ রেখেই মিয়ানমারে নির্বাচন আজ

অপরাজেয় বাংলা ডেক্স 

রোহিঙ্গাদের বাদ রেখেই মিয়ানমারের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ। ৮ নভেম্বরের এ নির্বাচনে দেশটির ৯০টি দল অংশ নিচ্ছে। তবে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, এবারও ক্ষমতায় আসতে চলছে অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি)। দলটির বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা গণহত্যায় পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগ রয়েছে।.

সাধারণ নির্বাচনের পাশাপাশি রাজ্যগুলোতেও এদিন একযোগে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হবে। এবারের নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা তিন কোটি ৭০ লাখ। এর মধ্যে ৫০ লাখ মানুষ এবার প্রথমবারের মতো ভোটার হয়েছে।

বিবিসি বলছে, রোহিঙ্গা গণহত্যার পক্ষে কথা বলে মিয়ানমারে জনপ্রিয়তা বাড়িয়েছেন সু চি। ওই গণহত্যার দায়ে এরইমধ্যে আন্তর্জাতিক আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে গাম্বিয়া। সংবাদমাধ্যম ‘দি ডিপ্লোম্যাট’ বলছে ওই মামলায় মিয়ানমারের পক্ষে দাঁড়ানোর কারণে বার্মিজ রাজনীতিতে সু চি-র জনপ্রিয়তা বেড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে নির্বাচনটি নিয়ে ইতোমধ্যেই সংশয় প্রকাশ করেছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা।

২০১০ সালের নভেম্বরে দীর্ঘ বন্দিত্ব শেষে মুক্তি পান দেশটির কথিত গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চি। ২০১৫ সালের নির্বাচনে বড় জয় পাওয়া সেই সু চি-ই এখন রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত নৃশংসতার যৌক্তিকতা(!) প্রমাণের চেষ্টা করছেন। শুধু সু চি-ই নয়; দৃশ্যত রোহিঙ্গা গণহত্যার ব্যাপারে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও সবকটি রাজনৈতিক দলের মনোভাব একই।

অং সান সু চি’র ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) বিপরীতে প্রধান বিরোধী দল হলো এই ইউএসডিপি, যারা দেশটির সেনাবাহিনীর ঘনিষ্ঠ বলে মনে করা হয়। ইউএসডিপি নেতা উ থান থে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন যে, রোহিঙ্গাদের নিয়ে মিয়ানমারের দুঃখিত হওয়ার কিছু নেই।

এবারের নির্বাচনের প্রচারণায় ইউএসডিপি তাদের প্রতিপক্ষ এনএলডি’র বিরুদ্ধে যেসব কথা জোরেসোরে বলছে তার মধ্যে একটি হলো যে ‘এনএলডি বাঙালি মুসলিমদের স্বাগত জানিয়েছে।’ মিয়ানমারে সাধারণত রোহিঙ্গাদের বোঝাতে ‘বাঙালি মুসলমান’ এই শব্দ যুগল ব্যবহার করা হয়।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এ নির্বাচনকে যেসব কারণে অস্বচ্ছ বলছে তার মধ্যে একটি হলো, উত্তর রাখাইনের লাখ লাখ মুসলমানকে পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়ার বাইরে রাখা।

সূত্র: আল জাজিরা, বিবিসি।