যশোর-৬ কেশবপুর আসনের উপ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশায় প্রার্থীরা মাঠে নেমেছেন
জাহিদ আবেদীন বাবু, কেশবপুর (যশোর) থেকে
যশোরের কেশবপুরে জাতীয় সংসদ উপ নির্বাচন নিয়ে নির্বাচনী হওয়া বইছে। হাট, বাজার, মাঠে ময়দানে সর্বত্র আলোচনা চলছে কে কোন দলের মনোনয়ন পাচ্ছে তা নিয়ে। বিশেষ করে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন কে পাচ্ছে তা নিয়ে সর্বত্র আলোচনা চলছে। এ নির্বাচন ঘিরে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা নানা ধারায় বিভক্ত হয়ে পড়েছে। গত ২১ জানুয়ারী যশোর-৬ আসনের এমপি সাবেক জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক মৃত্যুবরণ করায় এ নির্বাচনী হওয়া শুরু হয়েছে।
জাতীয় সংসদীয় আসন ৯০ যশোর-৬ কেশবপুর আসনের উপ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশায় মাঠে নেমেছেন যশোর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীন চাকলাদার, কেশবপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এইচ এম আমির হোসেন, ইসমাত আরা সাদেক কন্যা নওরীণ সাদেক, আওয়ামীলীগ নেতা আলহাজ্ব শেখ আব্দুর রফিক, চলচ্চিত্র নায়িকা শাবানার স্বামী চলচ্চিত্র প্রযোজক ওয়াহিদ সাদিক, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এস এম রুহুল আমিন। বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশায় মাঠে নেমেছেন কেশবপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হোসেন আজাদ, পৌর বিএনপির সভাপতি সাবেক মেয়র আব্দুস সামাদ বিশ্বাস। ইতোমধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থীদের সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমসহ গণসংযোগ চলছে। গত ৪ ফ্রেরুয়ারি মঙ্গলবার সকালে কেশবপুরের বড়েঙ্গা গ্রামস্থ নিজ বাড়িতে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে ওয়াহিদ সাদিক জানান, দলীয় হাই কমান্ডের গ্রীণ সিগন্যাল পেয়ে তিনি নির্বাচনি এলাকায় এসেছেন এবং উপ নির্বাচনে নৌকার টিকিট প্রত্যাশা করছেন। অতিশিঘ্র তিনি নির্বাচনী এলাকায় নিজের বাড়িতে অবস্থান করে নির্বাচনী গণসংযোগ করবেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ওয়াহিদ সাদিক পতœী চলচ্চিত্র নায়িকা শাবানা, সাবেক এম পি আব্দুল হালিম প্রমুখ। গত ১ লা ফ্রেরুয়ারি উপজেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় কালে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন বলে ইসমাত আরা সাদেক কন্যা নওরীণ সাদেক জানান। কেশবপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এইচ এম আমির হোসেন জানান, তিনি বিগত ছয়টি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের মনোনয়ন চেয়েছেন। এবারও মনোনয়ন চাইবেন। তিনি মনে করেন এবার দল তাকে বঞ্চিত করবে না। মনোনয়নের ব্যাপারে তিনি এবার আশাবাদি। আওয়ামীলীগ নেতা আলহাজ্ব শেখ আব্দুর রফিক বলেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে দলের নেতাকর্মীদের সাখে সম্পর্ক রেখে চলেছেন। তিনি বিগত কয়েকটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন চেয়েছেন। এবারও মনোনয়ন চাইবেন। মনোনয়নের ব্যাপারে তিনি আশাবাদি। গত ২৪ জানুয়ারি কেশবপুরে আওয়ামীলীগ আয়োজিত প্রায়ত ইসমাত আরা সাদেকের শোক সভায় যশোর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীন চাকলাদার বলেন, আওয়ামীলীগ একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক দল। এ দল থেকে একাধিক নেতা দলীয় মনোনয়ন চাইতে পারে। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাকে মনোনয়ন দেবেন তিনিই নির্বাচন করবেন। দল চাইলে তিনি নির্বাচন করার জন্য প্রস্তুত আছেন।
এ আসনের মোট ভোটার ১ লাখ ৯৩ হাজার ৫শ৩৪ জন। দেশ স্বাধীনের পর কেশবপুর আসনে এম এন এ নির্বাচিত হন আওয়ামীলীগ নেতা জাতীর জনক বঙ্গবন্ধুর ঘণিষ্ট সহচর প্রয়াতঃ সুবোদ কুমার মিত্র, ১৯৭৩ সালে অবিভক্ত কেশবপুর, মনিরামপুর অঞ্চলে বর্তমান আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য পীযুষ কান্তি ভট্টাচার্য, ১৯৭৯ সালে বিএনপির প্রার্থী প্রয়াত ঃ গাজী এরশাদ আলী. ১৯৮৬ সালে জাতীয় পার্টির অ্যাডভোকেট আব্দুল কাদের, ১৯৯১ সালে জামায়াত থেকে মাওলানা সাখাওয়াৎ হোসেন, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রæয়ারী নির্বাচনে বিএনপি থেকে মাওলানা সাখাওয়াৎ হোসেন, ১৯৯৬ সালে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী এ এস এইচ কে সাদেক, ২০০১ সালের নির্বাচনে সাবেক শিক্ষমন্ত্রী এ এস এইচকে সাদেক, ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামীলীগ নেতা শেখ আব্দুল ওহাব, ২০১৪ সালের নির্বাচনে ইসমাত আরা সাদেক, ২০১৯ সালের নির্বাচনে সবেক জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক এমপি নির্বাচিত হন। ##