এদিকে, গ্রেপ্তার ৫ কর্মকর্তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জানান, শনিবার বিকেলে আদালত ৫ জনের রিমান্ড মঞ্জুর করার পরই তাদের পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে নির্দয়ভাবে পিটিয়ে তিন কিশোরকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় আহত হয় আরও ১৫ কিশোর।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের মারপিটের ঘটনায় তিন ‘বন্দি’ কিশোর নিহত হয়। নিহতরা হলো, খুলনার দৌলতপুর থানার মহেশ্বরপাশা পশ্চিম সেনপাড়ার রোকা মিয়ার ছেলে পারভেজ হাসান রাব্বি (১৮) রেজিষ্ট্রেশন নম্বর ১১৮৫৫৩, বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার মহিপুর গ্রামের আলহাজ নুরুল ইসলাম নুরুর ছেলে রাসেল ওরফে সুজন (১৮) রেজিষ্ট্রেশন নম্বর ৭৫২৪ এবং একই জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার তালিপপুর পূর্বপাড়ার নানু প্রামাণিকের ছেলে নাঈম হোসেন (১৭) রেজিস্টেশন নম্বর ১১৯০৭। এসময় আহত হয় অন্তত ১৭ জন। আহতদের পুলিশ উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় সমাজসেবা অধিদপ্তর দুই সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকেও তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।