তাই বাধ্য হয়েই গাছতলা কিংবা রাস্তার ওপরই চিকিৎসা নিতে দেখা গেছে অনেক রোগীকে। আবার ফিরেও যাচ্ছেন অনেকেই। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, পরিস্থিতি সামাল দিতে আইসোলেশন ওয়ার্ড সম্প্রসারণ করা হয়েছে।
এটা ভারত বা অন্য কোনো দেশের ছবি নয়। যশোর জেনারেল হাসপাতালের চিত্র। আইসোলেশন ওয়ার্ডে তিল ধারণের জায়গা নেই। বাধ্য হয়ে গাছতলা বা রাস্তার ওপরে থাকতে হচ্ছে করোনা রোগীদের। এমনকি চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন অনেকেই। রোগীর স্বজনরা জানান,’রোগীর চাপ ছিলো তাই করোনা ইউনিটে ঢুকাতে পারিনি। করোনা ইউনিটে কোন বেড নাই।’
এদিকে সঠিক সময় চিকিৎসা সেবা পাওয়া নিয়েও রয়েছে স্বজনদের অভিযোগ। রোগীর স্বজনরা জানান,’বলে অক্সিজেন নাই। যেই এক হাজার টাকা দিয়েছি। তখনই অক্সিজেন দিয়েছে। টাকা দিলে কাজ হচ্ছে।’
অভিযোগের অন্ত নেই নমুনা দিতে আসা ব্যক্তিদেরও। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষায় থেকেও দিতে পারছেন না নমুনা। নমুনা দিতে আসাদের অভিযোগ,’দুই ঘন্টা দাঁড়ায় থেকেও সিরিয়াল পাইনি।’
হাসপতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, করোনা ও উপসর্গ নিয়ে অনেক রোগী আসছেন; চাপ সামাল দিতে আইসোলেশন ওয়ার্ড সম্প্রসারণ করা হয়েছে। যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আখতারুজ্জামান বলেন,’টাকা দিয়ে অক্সিজেন এটা ফালতু কথা। আমাকে দেখান। আমরা অফিসিয়ালি ব্যবস্থা নিব।’
খুলনা বিভাগের মধ্যে এই জেলায় করোনা শনাক্ত ও মৃত্যু ক্রমেই উর্ধ্বমুখী। গত সাতদিনে শনাক্তের হার ৩৪ থেকে ৪০ শতাংশে ওঠানামা করছে। আর সাতদিনে মারা গেছেন প্রায় অর্ধশত মানুষ।