যশোরে করোনা আক্রান্ত হয়ে ও উপসর্গ নিয়ে ১৪ জনের মৃত্যু
শনিবার (৩ জুলাই) দুপুরে যশোর সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য কর্মকর্তা ডা. মো. রেহেনেওয়াজ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার ৭২০ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২৫০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন যবিপ্রবির জিনোম সেন্টারে ৭১৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৫০ জনের করোনা পজিটিভ রোগী শনাক্ত হয়েছেন। খুলনা মেডিক্যাল কলেজে চার জনের নমুনা পাঠানো হলেও সবগুলোই ফলাফল নেগেটিভ আসে। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় জিন অ্যাক্সপার্ট ও র্যাপিড অ্যান্টিজেনে কোনো নমুনা পরীক্ষা করা হয়নি। এ সময়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে আটজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় কারোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ১৬২ জন। জেলাটিতে মোট করোনা শনাক্ত হয়েছেন ১৩ হাজার ৩৭ জন, সুস্থ হয়েছেন ৭ হাজার ৪৬৯ জন।
এদিকে, করোনা রোগীর চাপ আরও বেড়েছে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে। এখানে ১৪০টি শয্যার বিপরীতে রোগী ভর্তি রয়েছেন ২০২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় এখানে করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ছয়জন।
যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. আরিফ আহমেদ বলেন, করোনায় আক্রান্ত হয়ে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন সাত জন। এছাড়া উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হয়েছে ছয় জনের।
তিনি বলেন, হাসপাতালে করোনা রোগীদের জন্য নির্ধারিত রেড জোনে এখন ভর্তি রয়েছেন ১৩০ জন। এখানে শয্যা সংখ্যা ১১৮টি। তবে করোনার উপসর্গ নিয়ে ইয়েলো জোনে ভর্তি রয়েছেন ৭২ জন। এখানে শয্যা সংখ্যা ২২টি। অর্থাৎ রেড ও ইয়েলো জোনে মোট ১৪০টি শয্যা থাকলেও রোগী ভর্তি রয়েছে ২০২ জন। হাসপাতালের রেড জোনে ২৩ শয্যা বাড়ানোর প্রক্রিয়া চলছে।
যশোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী সায়েমুজ্জামান বলেন, যশোরে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে প্রশাসনের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে মাঠে সেনাবাহিনী ও বিজিবি সদস্যরাও রয়েছেন।সূত্র, বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম