মিড ডে স্কুল মিলের সমস্যাটা কোথায় কেউ কি উপলব্ধি করতে পেরেছেন?
যবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ সাজ্জাদ ফয়সালঃ শিক্ষার উন্নয়নে নানা পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে ২০২৩ সালের মধ্যেই সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড ডে মিল বা দুপুরের খাবার সরবরাহ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ঝরে পড়ার হার কমাতে এরইমধ্যে বেশকিছু উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড ডে মিল চালু করা হয়েছে।এ বিষয়ে কথা বলেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের(শাবিপ্রবি) ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টি টেকনোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. জি. এম. রবিউল ইসলাম। তিনি বলেন, “মিডডে স্কুল মিল নি:সন্দেহে সরকারের একটি যুগ উপযোগী ও প্রসংশনীয় উদ্যোগ যা শুধু শিক্ষার্থীদের স্কুল থেকে ঝরে পড়া নয়, ছাত্রছাত্রীদের মেধার বিকাশ ঘটাতে সহায়তা করবে। তৈরি হবে মেধাবী ভবিষ্যত প্রজন্ম। বর্তমানে একটি রসিক টপিকস খিঁচুড়ী পাকাতে মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের বিদেশ সফরে যাচ্ছে সোশাল মিডিয়াতে ঘুরপাক খাচ্ছে। আসল সমস্যা টা কোথায় সেটা কি কেউ উপলব্ধি করতে পেরেছেন?সমস্যা গুলো হলো, আমাদের খাদ্য রান্নার প্রনালী সেকেলে। খাদ্য রান্না করার সময় পুষ্ঠিমান ধরে রাখা অতি জরুরী।তাছাড়া এই খাবার রান্নার দায়িত্ব থাকবে বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষকার উপর এতে পড়ার পরিবেশ ব্যহত হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা থেকে যায়।সারা দেশে যদি মিডডে স্কুল মিল চালু হয় সেটা খুবই প্রসংশনীয় উদ্যোগ। কিন্তু ফুড সেফটি ও পুষ্ঠিমান বিষয়টি কিভাবে মনিটর কি ভাবে হবে সে বিষয়ে কোন পরিকল্পনা আছে কি? সে সম্পর্কে আমার জানা নেই।তাছাড়া ছেলেমেয়েদের একই খাবার খেয়ে একঘেয়েমিতা আসার সম্ভাবনা আছে তাই পুষ্টিবিদদের পরামর্শে সঠিক খাবার প্ল্যান আছে কী?এ বিষয় নিয়ে কোনো রূপরেখা নাই। তিনি এ সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য পরমর্শ হিসাবে বলেন, প্রথমে দরকার প্রতিটি স্কুলে একজন করে বাবুর্চি নিয়োগ দেওয়া।এ ধরণের কর্মসূচী চালুর আগে উপজেলা পর্যায়ে একজন ফুড সেফটি এন্ড নিউট্রিশন অফিসার/ অফিস স্থাপন জরুরী যারা এই প্রকল্প বাস্তবায়নে সার্বক্ষনিক মনিটর করবে। পত্রিকার মাধ্যমে আমরা জানতে পারি এ ধরণের প্রকল্পের যথাযথ মনিটর ও বাস্তবায়নের অভাবে ভারতে হাজারো শিশু অসুস্থ হয়েছে ও মৃত্যু বরণ করছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই বিশেষ প্রকল্পে আমাদের মন্ত্রণালয়ের কর্তা ব্যাক্তিদের বিদেশ প্রশিক্ষনের দরকার কি না? আমার মতে দরকার বিদ্যালয় ভিত্তিক বার্বুচি নিয়োগ ও তাদের প্রশিক্ষন। আমাদের দেশে যথেষ্ট পরিমান ফুড ইঞ্জিনিয়ার/ পুষ্টিবিদ আছে যারা এ সকল বিষয়ে মনিটর ও বাস্তবায়নে যতেষ্ট অভিজ্ঞ। আর যদি প্রয়োজনই হয় তাহলে বিদেশ থেকে বরং এক্সপার্ট লোক এনে এদেশের কর্তা ব্যাক্তিদের প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। যার মাধ্যমে সময় ও জনগণের ট্যাক্স এর টাকা সাশ্রয় হবে। সবশেষে তিনি এই প্রকল্প গ্রহণ করার জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানান এবং সরকারকে সমস্যাগুলো সমাধান করার জন্য অনুরোধ করেন।