Type to search

মায়ের মৃত্যুশোকে মারা গেলেন দুই মেয়ে

জাতীয়

মায়ের মৃত্যুশোকে মারা গেলেন দুই মেয়ে

মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার চন্দনবাড়ি ইউনিয়নের খলিফাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মৃত দুই বোনের সৎকার বুধবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে নিজ নিজ স্বামীর বাড়িতে করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন ছয় মেয়ে ও দুই ছেলের জননী পঞ্চমী বেওয়া (৯০)। তার মৃত্যুর খবর পেয়ে স্বামীর বাড়ি থেকে মাকে শেষবারের মতো দেখতে বাবার বাড়ি ছুটে আসেন মেয়েরা। এসময় কাঁদতে কাঁদতে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন পঞ্চমীর ছোট মেয়ে চৈতি রানী ও বড় মেয়ে স্বরজনি বালা। এ অবস্থায় তাদের হাসপাতালে নেওয়ার পথেই তারা মারা যান।

পঞ্চমী বেওয়া ওই এলাকার মৃত প্রাণ কিশোর বর্মনের স্ত্রী। তাদের বড় মেয়ে স্বরজনি বালা একই উপজেলার সাকোয়া ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়ার সুশীল চন্দ্র রায়ের স্ত্রী এবং ছোট মেয়ে চৈতি রানী ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ফারাবাড়ি এলাকার পলাশ চন্দ্র রায়ের স্ত্রী।

চন্দনবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জাকারিয়া হাবিব বাংলানিউজকে জানান, পঞ্চমী বেওয়া মারা যাওয়ার পর তার ছয় মেয়েই স্বামীর বাড়ি থেকে তাকে দেখতে আসেন। মেয়েরা দিনভর মায়ের জন্য কান্নাকাটি করছিলেন। বিকেলে পঞ্চমীর মরদেহ বাড়ির পাশের শ্মশানে সৎকার শেষ করে স্বামীর বাড়ি ফেরার প্রস্তুতি নেওয়ার সময় বুকে ব্যথা অনুভব করে অচেতন হয়ে পড়েন চৈতি রানী। পরিবারের লোকজন তাকে দ্রুত মাইক্রোবাসে করে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিলেন। পথে ওই মাইক্রোবাসে থাকা চৈতি রানীর বড় বোন স্বরজনি বালাও জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এ অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাস্তায়ই দুই বোনের মৃত্যু হয়।

 সূত্র,  বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম