Type to search

মার্কিন সরাস্ত্র কেনায় সৌদি’র প্রশংসা করলেন ট্রাম্প

আন্তর্জাতিক

মার্কিন সরাস্ত্র কেনায় সৌদি’র প্রশংসা করলেন ট্রাম্প

মার্কিন সামরিক সরঞ্জাম কেনায় সৌদি আরবের প্রশংসা করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে ‘আমার বন্ধু’ সম্বোধন করে আজ শনিবার ট্রাম্প তাঁর এ সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেন। সৌদির অর্থনৈতিক ও সামাজিক সংস্কারে যুবরাজের ভূমিকাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন তিনি।

পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে ট্রাম্পের প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম বিক্রির পরিকল্পনাকে সমর্থন দেয়নি কংগ্রেস। ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানের কয়েকজন সদস্যও মানবাধিকার লঙ্ঘনের আশঙ্কায় এ পরিকল্পনার বিরোধিতা করেন। গত বছর সৌদি সাংবাদিক ও সমালোচক জামাল খাসোগি ইস্তাম্বুলের সৌদি মিশনের ভেতর খুন হওয়ার বিষয়টিকে তাঁরা মানবাধিকার লঙ্ঘনের উদাহরণ হিসেবে উপস্থাপন করেছেন।

যুবরাজের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে ট্রাম্প বলেন, ‘আমার বন্ধু ও সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে দেখা করা একটি সম্মানের বিষয়। পাঁচ বছর ধরে সৌদি আরবকে তিনি ঢেলে সাজাচ্ছেন। বিশেষ করে নারীদের জন্য তাঁর অবদানকে রীতিমতো ইতিবাচক বিপ্লব বলে মনে করি আমি।’ জি-২০ সম্মেলনের এক ফাঁকে এ কথা জানান তিনি।

যুবরাজ বলেন, ‘আমরা দেশের ভালোর জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি। সৌদি আরবের উন্নয়ন প্রকল্প হবে একটি দীর্ঘ যাত্রা।’

এ মাসে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং অন্যান্য দেশে বিলিয়ন ডলারের সামরিক সরঞ্জাম বিক্রির বিরুদ্ধে ভোট দেয় সিনেট। ইরান ইস্যুকে জরুরি ঘোষণা করে কংগ্রেসের এ ধরনের চুক্তির পর্যালোচনা হ্রাস করার ট্রামের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেন তাঁরা।

ট্রাম্প অবশ্য সিনেটের কার্যক্রমে ভেটো দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আজ শনিবার সম্মেলনে যুবরাজের সমালোচক খাসোগির মৃত্যুর ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন তিনি।

সিআইএর তদন্তে জানা গেছে, খাসোগিকে হত্যার নির্দেশ দেওয়ার পেছনে যুবরাজের হাত আছে। জাতিসংঘের অধিকার রক্ষা তদন্ত কর্মকর্তারাও বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুবরাজের সংশ্লিষ্টতা তদন্ত করা প্রয়োজন। যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান যে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত, সে ব্যাপারে যথেষ্ট বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ আছে বলে জানান তাঁরা। সৌদি কর্মকর্তারা খাসোগি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কোনো ধরনের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেছেন।

সমালোচকেরা বলেন, ইরানের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার কথা মাথায় রেখে সৌদিকে চটাতে চাইছে না যুক্তরাষ্ট্র। পারস্য অঞ্চলের ওপর আধিপত্য বিস্তার করতে সৌদিকে হাতে রাখছেন ট্রাম্প।

উপসাগরীয় এলাকায় তেলবাহী ট্যাংকারে হামলা ও ড্রোন ভূপাতিত করার ঘটনায় ইরানকে দায়ী করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ট্রাম্প বলেন, সামরিক সরঞ্জাম কেনার টাকা দিয়ে অন্তত এক মিলিয়ন মার্কিন নাগরিকের চাকরির ব্যবস্থা করা সম্ভব।

যুবরাজের পাশে বসে ট্রাম্প বলেন, ‘সৌদি আরব এবং অন্যান্য দেশ সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে কি না, তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিতর্ক চলছিল। তবে সৌদি আরব এ অবস্থান থেকে একেবারেই সরে এসেছে। এ কারণে আমি এবং সারা বিশ্ব সৌদির প্রশংসা করছে।’

আরও সংবাদ