Type to search

মাথাপিছু আয়ের তুলনা পিপিপিতে করার পরামর্শ

জাতীয়

মাথাপিছু আয়ের তুলনা পিপিপিতে করার পরামর্শ

গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এক সেমিনারে এসব
কথা বলেন সৈয়দ মইনুল আহসান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিআইডিএসের মহাপরিচালক বিনায়ক সেন।

ভারত বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়ে পড়ছে—এই রাজনৈতিক উত্তেজনায় কৌশিক বসুর মতো ভারতীয় অর্থনীতিবিদও ভেসে গেছেন। কৌশিক বসু টুইটে বলেছিলেন, ‘ভারত পাঁচ বছর আগে মাথাপিছু জিডিপিতে ভারতের চেয়ে ২৫ শতাংশ এগিয়ে ছিল, কিন্তু এখন তারা পিছিয়ে পড়েছে—প্রকৃত অর্থেই ধাক্কা খাওয়ার মতো বিষয়।’

সৈয়দ মইনুল আহসান বলেন, ডলারের চলতি মূল্যে দুই দেশের মাথাপিছু আয়ের মধ্যে তুলনা করার কিছু বাস্তব সমস্যা আছে। সেগুলো হলো প্রথমত, দুই দেশের মূল্যস্ফীতির পার্থক্য; দ্বিতীয়ত, মুদ্রার বিনিময় হারে পার্থক্য; তৃতীয়ত, দুই দেশের চরম ও আপেক্ষিক মূল্যের ব্যবধান এবং তাদের মধ্যকার তুলনা অযোগ্যতা।

চলতি মূল্যে হিসাবের ক্ষেত্রে কেবল মোট জাতীয় আয় (জিএনআই) কিছুটা বিশ্বাসযোগ্য বলে মত দেন সৈয়দ মইনুল। এই সূচকে বাংলাদেশের মাথাপিছু জিএনআই ১৯৯০-এর দশকেই ভারতকে ছাড়িয়ে গেছে।

বিআইডিএসের মহাপরিচালক বিনায়ক সেন কিছুটা ভিন্ন দিকে আলোকপাত করেন। বলেন, বিদ্যমান তথ্য-উপাত্তের তুলনা কীভাবে করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা আছে। সৈয়দ মইনুল তার পথ বাতলে দিয়েছেন। কিন্তু সব দেশে একই পদ্ধতিতে পরিসংখ্যান করা হয় না। যেমন ভারত যেভাবে জিডিপির হিসাব করে, বাংলাদেশ একদম একইভাবে করে না। ভারত যেসব খাত জিডিপিতে অন্তর্ভুক্ত করেছে, ভিত্তি বছর যা নির্ধারণ করেছে, বাংলাদেশ সেভাবে করছে না। একসময় ২০০৫ সাল ছিল জিডিপির ভিত্তি বছর। এখন ২০১৫ সাল। এর সঙ্গে নতুন কিছু খাত যুক্ত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এমনকি বিশ্বব্যাংকও এসব চ্যালেঞ্জ করে না।

অনুষ্ঠানে বিআইডিএসের গবেষক ও সাংবাদিকেরা উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র : প্রথম আলো :