মাঠ ভরা সোনালী ধান,তবুও হতাশায় ভবদহের কৃষক
প্রিয়ব্রত ধর,ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি: নব্বইয়ের দশকে হাইব্রিড জোন নামে খ্যাত ছিলো ভবদহ অঞ্চল। দেশের মধ্যে সবচে বেশি মাত্রায় হাইব্রিড ধানের ফলন এ অঞ্চলে রেক-ড করা হয়। এখানকার বেশির ভাগ লোকই পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষ ভাবে মাছ চাষ ও কৃষির ওপর নির্ভরশীল। বছরের তিন মাস জলাবদ্ধ থাকায় কৃষকরা নানা মুখি উৎপাদনে উৎসাহিত হয়েছে। বছরে একবার মাত্র বোরো ধান চাষ করে,বাকি সময় জমিতে মাছ চাষ করে থাকে কিন্তু এবারের চিত্র একদম আলাদা।
জমিতে পানি থাকায় আশানুরুপ ধান চাষ করতে পারেনি কৃষকরা,পানি নিষ্কাশন করে কিছু পরিমাণ জমিতে ধান চাষ করেছিল কৃষকরা খেতে সোনালী ভরে গেছে। তবুও কৃষকের দিন কাটছে চরম হতাশায়।কারণ জানতে চাইলে সুন্দলী গ্রামের উত্তম মন্ডল জানান মাঠে ফসল হয়েছে ভালো,এখন ধান ঘরে তোলার সময় কিন্তু করোণার প্রভাবে পাওয়া যাচ্ছে না মজুর। আর দিন মজুর দু এক জন পাওয়া গেলেও বেশি মজুরিতে তাদের কাজে আনতে হচ্ছে, সময় মত তাদের মজুরি পরিশোধ করতে না পারাই মিলছে না শ্রমিক। অন্যদিকে চলছে কাল বৈশাখির সময়,দ্রুত ধান ঘরে তুলতে না পারলে সে ধান মাঠেই নষ্ট হয়ে যেতে পারে বলে তার আশঙ্কা।
এমত অবস্থায় কৃষকদের মধ্য থেকে জোর দাবী উঠছে সরকারী হস্ত ক্ষেপের মাধ্যমে ধান মাড়াই যন্ত্র দিয়ে দ্রুত তাদের ধান কেটে দেওয়ার জন্য।
অন্যদিকে যে সকল চাষী ঘেরে মাছ চাষ করতো তারা পড়েছে আরো বিপদে,চলতি সমায়ে মাছ ধরে তা বাজার জাত করার উত্তম সময় এখন কিন্তু মাছ ধরতে পারলেও তা বাজারে বিক্রী করতে পারছে না করোনার প্রভাবে।বিক্রী করতে পারলেও পাচ্ছে না ন্যায্য মূল্য। সব মিলিয়ে চরম হতাশাই দিন পার করছে ভবদহ অঞ্চলের কৃষকরা। তারা দ্রুত সরকারী হস্ত ক্ষেপের মাধ্যমে এ সকল সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসতে অনুরোধ জানাচ্ছে।