Type to search

মনিরামপুরে সেই লিতুন জিরা পিইসি পরীক্ষায় বৃত্তি পেয়েছে

যশোর

মনিরামপুরে সেই লিতুন জিরা পিইসি পরীক্ষায় বৃত্তি পেয়েছে

মনিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি :
দুই হাত-পা ছাড়াই জন্ম নেয়া সেই লিতুন জিরা মুখে ভর দিয়ে লিখেই এবার পিইসি পরীক্ষায় বৃত্তি পেয়েছে। লিতুন জিরা যশোরের মনিরামপুর উপজেলার শেখপাড়া খানপুর গ্রামের হাবিবুর রহমানের মেয়ে। সে এবার উপজেলার খানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পিইসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর আগে লিতুন জিরা জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ন হয়। বৃত্তি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লিতুন জিরার বাবা হাবিবুর রহমান। লিতুন জিরা পর নির্ভর হয়ে সমাজের বোঝা হতে চাই না। লেখা পড়া শিখে মানুষের মত মানুষ হয়ে আরো ১০ মানুষের মতো আত্মনির্ভশীল হতে চায় জন্ম থেকে দুই হাত-পা ছাড়া জন্ম নেয়া লিতুন জিরা। মুখ দিয়ে লিখেই মেধার স্বাক্ষর রেখেছে এই শিক্ষার্থী।
স্থানীয়রা জানায়, লেখাপড়ার প্রতি প্রবল আগ্রহী লিতুন জিরা প্রখর মেধাবী। হুইল চেয়ারেই বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করে এ-প্লাস (জিপিএ-৫) পেয়ে লিতুন জিরা মেধার স্বাক্ষর রাখে। মঙ্গলবার প্রকাশিত বৃত্তির ফলাফলে লিতুন জিরা সাধারন গ্রেডে বৃত্তি লাভ করেছে। তার বাবা উপজেলার এ. আর মহিলা কলেজের প্রভাষক। তিনি গত ১৭ বছর ধরে ওই কলেজে চাকুরি করলেও আজও কলেজটি এমপিওভূক্তি হয়নি। তার বাবাই সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। কিন্তু বেতন না পাওয়ায় খুব কষ্টে তাদের সংসার চলে।
লিতুন জিরার বাবা হাবিবুর রহমান ও মা জাহানারা বেগম বলেন, জন্মের পর মেয়ের ভবিষ্যত নিয়ে নানা চিন্তা তাদের পেয়ে বসতো। এখন মেয়ের মেধা তাদের আশার সঞ্চার করছে। লিতুন জিরা আর ১০ জন শিশুর মতো স্বাভাবিকভাবেই খাওয়া-দাওয়া, গোসলসহ সব কিছুই করতে পারে। মুখ দিয়েই লিখে সে যে চমৎকার হাতের লেখার নিদর্শন করেছে যে কারো দৃষ্টি কাড়বে। এ সময় কথা হয় তার সাথে। লিতুনের একটাই ইচ্ছা, পর নির্ভর না হয়ে লেখা পড়া শিখে নিজেই কিছু করতে চাই। তবে, সম্প্রতি মৃত্যুবরণকারী দাদুর জন্য খুব মন খারাপ লিতুন জিরা। বৃত্তি পাওয়ার খবরে লিতুন জিরার দাদু বেঁচে থাকলে তিনি খুব খুশি হতেন বলে জানায় লিতুন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *