Type to search

মনিরামপুরে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স উদ্বোধন করলেন মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ, ক, ম মোজাম্মেল হক

যশোর

মনিরামপুরে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স উদ্বোধন করলেন মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ, ক, ম মোজাম্মেল হক

মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি :
মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক বলেছেন প্রত্যেক মুক্তিযেদ্ধা ভাই যুদ্ধকালীন ৯ মাসের আপনার বাস্তব অভিজ্ঞতা ও ঘটনাবলি আপনার সন্তান, আপনার আত্মীয় স্বজনদের সামনে তুলে ধরবেন। তা-না-হলে পরবর্তী প্রজন্ম মুক্তিযোদ্ধের সঠিক ইতিহাস ভুলে যাবে। আগামী ২০২০ সালে বর্তমান সরকার মুজিব বর্ষ পালন করবে। এরজন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ২৩’শ কোটি টাকা বরাদ্ধ দিয়েছেন। আপনারা প্রত্যেক মুক্তিযোদ্ধা আগামী মার্চের মধ্যে আইডি কার্ড পাবেন, এর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আগামী ১০ দিনের মধ্যে উপজেলা প্রশাসনের কাছে বুঝে দিবেন।
গতকাল শনিবার দুপুরে মণিরামপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান উল্লাহ শরীফির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা খয়রাত হোসেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র কাজী মাহমুদুল হাসান, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নাজমা খানম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক প্রভাষক ফারুক হোসেন, সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এম এম নজরুল ইসলাম।

 


প্রধান অতিথির বক্তব্যে আ. ক. ম মোজাম্মেল হক তাঁর বক্তব্যে বলেন, আজ স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে বিএনপি জিয়াউর রহমানের নাম বলতে চান। দেশ স্বাধীনের সময় এ দেশের জনগণ জিয়ার নাম কেউ শোনেননি। রাজনৈতিক বিতর্ক সৃষ্টি করতে তাঁরা জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক দাবী করেন। যা বাহুল্য ছাড়া কিছুই না। যারা এতিমের টাকা চুরি করতে পিছপা হয়নি তারা জিয়াকে স্বাধীনার ঘোষক বলতে চায় এটা জাতির জন্য লজ্জাজনক। এতিমের টাকা চুরি করে খেয়ে বেগম খালেদা আজ কারাগারে। তাঁর পরিবার ক্ষমতায় এসে দেশের সম্পদ কিভাবে লুটপাট করেছে তা জাতির সামনে আজ স্পষ্ট।
মু্িক্তযোদ্ধাদের উদ্দেশ্য করে তিনি আরো বলেন, আজকের এখানকার মু্িক্তযোদ্ধাদের জন্য সরকার এ ভাবন দিয়েছেন। মুক্তিযোদ্ধারা এখানে সময় কাটাবেন, বর্তমান প্রজন্মকে মুক্তিযোদ্ধের ইতিহাস জানাবেন, তা-না-হলে একদিন মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস হারিয়ে যাবে, যানতে পারবে না ভবিষ্যত প্রজন্মরা। তাই মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস সংরক্ষণের জন্য দেশের প্রতিটি উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সরকার এ কমপ্লেক্সে তৈরি করে দিয়েছে। তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার দেশের ১৪ হাজার মুক্তিযোদ্ধার জন্য ১৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে বাড়ি নির্মাণ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিছেন। যা খুব শিঘ্রই কার্যকর করা হবে। এছাড়া এখন থেকে সরকার যত রাস্তা নির্মাণ, সংস্কার করবেন তা মুক্তিযোদ্ধাদের সে রাস্তার নামকরণ করা হবে।
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বর্তমান প্রজন্মকে জানাতে পাঠ্যসূচী এবং বিসিএস-এ অর্ন্তভুক্ত করা হচ্ছে। আমরা বঙ্গবন্ধুর উত্তারাধীকারী উল্লেখ করে মন্ত্রী আরো বলেন, যার জন্ম না হলে আজ আমরা একটি স্বাধীন ভূ-খন্ড পেতামনা। বঙ্গবন্ধুই সর্ব প্রথম প্রাথমিক বিদ্যালকে সরকারীকরণ, জনগণের খাজনা, ট্যাক্স মৌকুফ করে ছিলেন। পাকিস্থানীদের শোষন নির্যাতনের ফলে এদেশের মানুষকে রক্ষা করতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখেছিলেন। সেই স্বপ্ন থেকেই বঙ্গবন্ধুই আজ জাতির পিতা।
প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্যরে দাবীর প্রেক্ষিতে অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী আ. ক. ম মোজাম্মেল হক উপজেলার বেলতলা বাজারের সেই নিমগাছ তলায় একটি বঙ্গবন্ধু মুরাল নির্মাণের ঘোষণা দেন। যে নিম তলায় দাড়িয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এখানকার জনগণকে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের জন্য সু-সংগঠিত করেছিলেন।