Type to search

মনিরামপুরে করোনার মধ্যেও শিক্ষকের কোচিং বাণিজ্য তুঙ্গে !

যশোর

মনিরামপুরে করোনার মধ্যেও শিক্ষকের কোচিং বাণিজ্য তুঙ্গে !

মনিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি :
শিক্ষার্থীদের করোনা সংক্রমণ থেকে দূরে রাখতে সরকার যখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখছেন ঠিক সেই মুহুর্তে মণিরামপুর পৌর শহরের এক শ্রেণী শিক্ষক তাদের কোচিং বাণিজ্য অব্যহত রেখেছেন। সামাজিক দূরত্ব, স্বাস্থ্য বিধি কোন তোয়াক্কা না করেই এসব শিক্ষকরা দলবদ্ধভাবে নিজ বাসায় অথবা কোচিং সেন্টারে সকাল-সন্ধ্যা তাদের কোচিং বাণিজ্য চালাচ্ছেন। উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা এসব বিধি নিষেধ উপেক্ষা করে তাদের কোচিং বাণিজ্য চালালেও রহস্য জনক কারণে স্থানীয় প্রশাসন নিশ্চুপ রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
খোঁজ খবর নিয়ে জানাগেছে, উপজেলা নয়, কেবল মণিরামপুর পৌর অঞ্চলে কোচিং বাণিজ্য করে চলেছেন এর তালিকায় প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষক রয়েছেন। যারা বাসা বাড়ি অথবা নিজ বাসাতেই দলবদ্ধভাবে কোচিং করিয়ে যাচ্ছেন।
খোঁজ খবর নিয়ে জানাযায়, মণিরামপুর আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক সঞ্জয় সরকার। তার এ কোচিং বাণিজ্য থেকে প্রতিমাসে আড়ায় লক্ষাধিক টাকা রোজগার করছেন। শ্যামনগর থেকে আসা সঞ্জয় সরকার সম্প্রতি মোহনপুর মৌজায় ৫২ লক্ষাধিক টাকার একখন্ড জমি ক্রয় করেছেন। এছাড়াও তাহেরপুর মৌজায় বাড়ি করেছেন আরো একটি। বর্তমানে শিক্ষকতা এবং কোচিং বাণিজ্য করে প্রায় ২ কোটি টাকার সম্পদ গড়েছেন বলে প্রচার রয়েছে।
খোজ নিয়ে জানা গেছে,বর্তমানে কোচিং বাণিজ্য থেকে মাসে ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা রোজগার করছেন ঢাকুরিয়া কলেজের রসায়নের শিক্ষক শাহিন আলম। হাকোবা গ্রামে ভাড়াতে থাকলেও রীতিমত যেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন সেখানে। গণিতের শিক্ষক আব্দুস সবুর এবং মশিয়ার রহমানের কোচিং বাণিজ্য থেকে মাসে আসছে প্রায় ২ লক্ষাধিক টাকা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে, কয়েকজন কোচিং শিক্ষক জানিয়েছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে অভিভাবকদের চাপে পড়াতে হচ্ছে। কেউ কেউ দাবী করেছেন প্রাইভেট পড়ালেও এমুহুর্তে পড়াচ্ছি না। তবে ভিন্ন মত মিলেছে একজন অভিভাবক ও শিক্ষকের কাছ থেকে।
দূর্গাপুর গ্রামের অভিভাবক শফিয়ার রহমান জানান, শুধু করোনা বা সংক্রমণ এড়াতে প্রাইভেট পড়াতে পারছি না ছেলেকে। মণিরামপুর আদর্শ সম্মেলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আসিবুর রহমান জানান, একমাত্র অজ্ঞ শিক্ষক এবং অভিভাবকরাই কেবল দেশের এ ক্রান্তিলগ্নে ছেলে-মেয়েদের প্রাইভেট মাষ্টারদের কাছে পাঠাচ্ছে। এছাড়া নিজের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অবসর সময়টি কাজে লাগানো যাচ্ছে। উপজেলা প্রশাসন থেকে কোন চাপ আসছে কিনা এমন প্রশ্ন করতে তারা জানান, একটু আধটু চাপতো থাকবেই। তারপরও ম্যানেজ করে চললে কোন অসুবিধা নেই।
নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে জানাগেছে, যারা কোচিং বাজিণ্য করেন তাদের একটি তালিকা রয়েছে উপজেলা প্রশাসনের হাতে। এ তালিকা হাতে থাকলেও গত ২/৩ মাসেও কোন কর্যকর পদপেক্ষ গ্রহণ করা হয়নি বলে জানাগেছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিকাশ চন্দ্র সরকার এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এমুহুর্তে প্রাইভেট পড়াচ্ছে এমন সুর্নিদিষ্ট অভিযোগ পেলে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে কথা বলতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহসান উল্লাহ শরীফির মুঠোফোনে চেষ্টা করা হলেও ফোনটি রিসিভ করা হয়নি।

————————————————————————————————————

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *