Type to search

মণিরামপুরে স্কুলের জমি দখল করে বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ এলাকায় চরম উত্তেজনা

যশোর

মণিরামপুরে স্কুলের জমি দখল করে বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ এলাকায় চরম উত্তেজনা

মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি :
মণিরামপুর উপজেলার কাশিমনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জমি দখল করে পাকা বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে স্কুলের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যহত হওয়ার আশংকায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকসহ এলাকাবাসীর মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। অথচ এ ব্যাপারে প্রশাসন রয়েছে সম্পূর্ন নির্বিকার।
জানাযায়, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে গ্রামীণ অবকাঠামো (কাবিটা) প্রকল্পের আওতায় গৃহহীনদের জন্য দূর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মাণের জন্য মণিরামপুর উপজেলায় সরকার মোট ২২ জনকে বাড়ি নির্মানের অর্থ বরাদ্দ করে। প্রতিটি বাড়ি নির্মাণে বরাদ্দ করা হয়েছে দুই লাখ ৫৮ হাজার টাকা। এর মধ্যে কাশিমনগর গ্রামের মৃত. নেপাল গাজীর ছেলে আনছার আলী গাজীর নামেও একটি বাড়ি নির্মাণের অর্থ বরাদ্দ করা হয়। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে নিজের জমির পরিবর্তে আনছার আলী গাজী কাশিমনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ভবন নির্মাণের জন্য নির্ধারিত জমি দখল করে সেখানে বাড়ি নির্মাণ শুরু করেছেন। ইতিমধ্যে প্রধান শিক্ষক হাসানুজ্জামানসহ স্কুল কর্তৃপক্ষ কাজে বাঁধা দিয়েছেন। তবে তিনি কোন কর্নপাত না করে নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেখেছেন।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জি, এম আহাদ আলী জানান, ওই জমি নিয়ে আনছার আলী গংদের সাথে স্কুলের বিরোধ চলে আসছে। বিষয়টি আদালত পর্যন্তও গড়িয়েছে। আদালত ওই জমিতে ইতিপূর্বে ১৪৪ ধারা জারি করেন। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ বায়েজিদ জানান, ওই বিরোধীয় জমিতে বাড়ি নির্মাণ করতে ইতিমধ্যে আনছার আলীকে নিষেধ করা হয়েছে। তবে আনছার আলী জানান, সরকারি অর্থ দিয়ে নয়, নিজের অর্থ দিয়ে পৈত্রিক জমিতে তিনি বাড়ি নির্মাণ করছেন।
এ দিকে প্রধান শিক্ষক হাসানুজ্জামান জানান, বিজ্ঞান ভবন নির্মাণের জন্য স্কুলের ওই নির্ধারিত জমি দখল করে বাড়ি নির্মাণে বাঁধা দিলেও এ পর্যন্ত তা বন্ধ করা হয়নি। ফলে এ ব্যাপারে নতুন করে মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে জমি দখল করে বাড়ি নির্মাণ শুরু করায় স্কুলের স্বাভাবিক কার্যক্রম বাঁধাগ্রস্থ হচ্ছে। ফলে শিক্ষক শিক্ষার্থী অভিভাবকসহ এলাকাবাসীর মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান উল্লাহ শরিফী জানান, অন্যের জমিতে বাড়ি নির্মাণ করার সুযোগ নেই। যদি ওই জমিতে বাড়ি নির্মাণ করা হয় তাহলে তার নামে বরাদ্দ অর্থ বাতিল করা হবে।