মণিরামপুরে সন্তানকে বাঁচাতে দরিদ্র পিতার আকুতি
মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি :
যশোরের মণিরামপুরে দীর্ঘদিন ধরে অর্থাভাবে বিনা চিকিৎসায় বিছানায় শুয়ে সর্ব শরীরে অসহ্য ব্যাথায় কাতরাচ্ছেন ফার্ণিচার শ্রমিক হাবিবুর রহমান হাবিব। পরিবারের একমাত্র কর্মক্ষম সন্তানের চিকিৎসা ব্যয়তো দূরের কথা, পরিবারের ৬ সদস্যের দু’বেলা দু’মুঠো খাবার তুলে দিতে বাধ্য হয়ে বৃদ্ধ বয়সে ভ্যান নিয়ে রাস্তায় নেমেছেন বাবা আব্দুল গণি (৬০)। হাবিবুর রহমান মণিরামপুর পৌর এলাকার কামালপুর গ্রামের আব্দুল গণির ছেলে।
গত ১২ বছর ধরে তিনি রিউমেটিক ফেবারে ভুগছেন। চিকিৎকরা জানিয়েছেন হাবিবুরের উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন। এ জন্য ৫লাখ টাকার প্রয়োজন। কিন্তু অসহায় পরিবারের পক্ষে তা জোগাড় করা অসম্ভব।
হাবিবের বাবা জানান, হাবিব তার একমাত্র ছেলে। গত ১২ বছর আগে প্রচন্ড জ্বর নিয়ে চিকিৎসকের কাছে গেলে রিউমেটিক ফেবার হয়েছে বলে জানায়। সেই থেকে চিকিৎসা করাতে গিয়ে প্রায় ৫ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। আত্বীয়-স্বজনদের দেয়া সাহায্য আর ধার দেনা করে চিকিৎসা করিয়েছেন। কিন্তু দিনকে দিন অবনতির দিকে গেছে। বর্তমানে তার ছেলে শয্যাশায়ী। বাধ্য হয়ে পরিবারে সদস্যদের খাবার জোগাড় করতে বৃদ্ধ বয়সে ভ্যান নিয়ে রাস্তায় নেমেছেন তিনি।
হাবিবের স্ত্রী রুমা খাতুন কান্না জড়িত কন্ঠে জানায়, তাদের আবু হুরাইরা নামের ৩ বছরের ছেলে ও সামিয়া খাতুন নামের ১০ বছরের মেয়ে রয়েছে। মেয়ে স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪র্থ শ্রেণিতে পড়ছে। তার স্বামী বর্তমানে বিছানা থেকে উঠতে পারে না। খাওয়া, প্রাকৃতিক কাজ বিছানাতেই করে। তিনিই স্বামীর মুখে খাবার তুলে দেয়াসহ সব কাজ করেন। পরিবারের একমাত্র কর্মক্ষম ব্যক্তিকে বাঁচাতে সমাজের বিত্তবান, দানশীলদের সহযোগিতা কামনা করেছেন স্বজনরা।