Type to search

ভবদহের জলাবদ্ধ জনগণ স্বেচ্ছাশ্রমে আমডাঙ্গা খাল সংস্কার করলো

অভয়নগর

ভবদহের জলাবদ্ধ জনগণ স্বেচ্ছাশ্রমে আমডাঙ্গা খাল সংস্কার করলো

সংস্কার করার পর প্রবাল বেগে পানি নিষ্কাশিত হচ্ছে

স্টাফ রিপোর্টার: ভবদহ অঞ্চলের জনগন বাড়ি ঘর থেকে পানি নিষ্কাশনের আশায় স্বেচ্ছাশ্রমে আমডাঙ্গা খাল সংস্কারের কাজ শুরু করেছেন। সোমবার সকালে শতশত জনগন খালের মধ্যে পনি উন্নয়ন বোডের্র অপরিকল্পিত ভাবে বসানো ইট সিমেন্টর তৈরি ব্লক উঠাতে জলে নামে।এছাড়া তারা খালে পানি প্রবাহে বাাঁধা সৃষ্টিকারী উপড়ে পড়া গাছপালা অপসারণ করেন।
পলি জমে নদী ভরাট হয়ে যাওয়ায় যশোরের অভয়নগর,মনিরামপুর ও কেশবপুর উপজেলার প্রায় ৪০টি গ্রামের লাখ লাখ জনগন চার মাস যাবৎ পানিবন্ধী হয়ে জীবন যাপন করছেন। তাদের সবত বাড়িতে পানি, মাছের ঘের, ফসলের মাঠ সবই পানি নীচে। মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা। পানি নিষ্কাশনের দাবিতে তারা নানা ধরনের আন্দোলন কর্মসুচি পালন করে যাচ্ছেন। কিন্তু পনি উন্নয়ন বোর্ড এপর্যন্ত আশু পানি নিষ্কাশসের কোন ব্যবস্থা করেনি। এমনই এক পরিস্থিতিতে তারা হতাশ হয়ে পড়েছে। ভবদহ অঞ্চালে প্রায় ৮ হাজা হেক্টর ফসলি জমি রয়েছে। এর মধ্যে দু’ফসলি তিন ফসলি জমিও রয়েছে। এখন ধানের বীজ তৈরির মৌসুম। কিন্তু ফসলি জমিতে এখনো অথৈই পানি। ইরি বোরো ধানের আবাদ করা সম্ভাব হবে না এবছর। এমনটাই আশংকা করছেন এলাকার কৃষক মহল।
ভবদহের পানি নিষ্কাশনের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা হিসাবে খনন করা হয়েছিলো অভয়নগর উপজেলায় অবস্থিত আমডাঙ্গা খাল। খালটি তৎকালিন বিএনপি ঐক্যজোট সরকারের আমলে স্থানীয় সাংসদ এম এম আমিন উদ্দিন ব্যক্তিগত উদ্যোগে খনন কওে ছিলেন। তিনি খাল খননের পর পানি প্রবাহে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় রেল ও মহসড়কের দুইটি ক্ষুদ্র কালভাট। ২০০৬ সালে ব্যাপক জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হলে জনগনের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে রেল ও সড়কের ওই দুইটি কালভার্ট ভেঙ্গে প্রশস্ত করা হয়। কিন্তু খাল শাসনের নামে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অপরিকল্পিত ভাবে বসানো ব্লকের কারনে খাল দিয়ে পানি নিষ্কাশনে প্রচন্ড বাঁধা হচ্ছে। জনগন বিষয়টি উপলব্ধি করে স্বেচ্ছাশ্রমে ওই সব ব্লক অপসারণ করতে সোমবার খালে নামেন। শত শত ভ’ক্তভোগী জনগন দূর গ্রাম থেকে দড়ি ,সাবল নিয়ে ছুটে আসে সে সব ভারি ব্লক অপসারণ করতে। ওই দিন তারা প্রায় অর্ধেক ব্লক অপসারণ করেছেন।
এরই মধ্যে পানির স্্েরাত বেড়ে গেছে। সরজমিনে দেখা যায় শতশত জনগন স্বেচ্ছাশ্রমে খালের ব্লক অপসারণ করছেন।পানির ¯্রােতও বেড়ে গেছে। ¯্রােত বেড়ে যাওয়ায় তাদের মনে আশার সঞ্চয় হয়েছে। অনেকেই বললেন এ ভাবে পানি নামলে অল্প দিনের মধ্যে তাদের বাড়ি ঘর থেকে পানি নিষ্কাশন হয়ে যাবে। ইরি বোরো ধানের চাষ ও করতে পারবেন তারা। স্বেচ্ছাশ্রম কাজের নের্তৃত্বদানকারীরা জানালেন, খাল সংস্কাারের কাজ অর্ধেক সম্পন্ন হয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার আবারো কাজ করা হবে।
স্বেচ্ছাশ্রমে খাল সংস্কার কাজে নের্তৃত্ব দেন ভবদহ পানি নিষ্কাশন আন্দোলন কমিটির আহবায়ক এনামুল হক বাবুল, ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির আহবায়ক রণজিত বাওয়ালী ও আমডাঙ্গা খাল কাটা সংগ্রাম কমিটির নেতা জাকির হোসেন সরদার, মশিয়ার রহমান,আব্দুর রউফ মোল্যা, হরেকৃষ্ণ সরকার, ইউপি সদস্য ইকবাল হোসেন,নজরুল ইসলাম সরদার মফিজুর রহমান দপ্তরী, আব্দুল হামিদ দপ্তরী, ইউপি চেয়ারম্যান মফিজ হোসেন, বিকাশ রায় কপিল, শেখর চন্দ্র রায়, বিপদ ভঞ্জন সহ সংশ্লিষ্ট সকল নেতা কর্মী ও ভ’ক্তভোগি জনগন।