মালেকা বেগম দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্টসহ বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৬ বছর। তিনি এক ছেলে ও দুই মেয়ে রেখে গেছেন।
এর আগে, অসুস্থ হয়ে পড়লে ‘বীরমাতাকে’ ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় গত ২০শে আগস্ট ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করানো হয়। সেখানেও তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়নি। পরে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। এরপর গত ৩রা সেপ্টেম্বর তাকে পুনরায় ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখান থেকেও তাকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। পরে আজ মঙ্গলবার সকালে নিজ বাড়িতে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
মঙ্গলবার বাদ আসর আলীনগর বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল ঈদগাঁও মাঠে মরহুমের নামাজে যানাজা শেষে ‘বীরমাতা’ মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে পারিবারিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
উল্লেখ্য, শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল ২ নং সেক্টরে মুক্তিযুদ্ধ করেন। ১৯৭১ সালের ১৮ এপ্রিল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দরুইন গ্রামে হানাদার পাকিস্তানী বাহিনীর সাথে সম্মুখযুদ্ধে অসীম সাহসিকতার সাথে যুদ্ধ করে শহীদ হন ৪র্থ ইষ্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের সিপাহী বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী মোস্তফা কামাল।
মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সামরিক পদক বীরশ্রেষ্ঠ পদক দেয়া হয় মোহাম্মদ মোস্তফা কামালকে। এছাড়া তার নামে প্রতিষ্ঠিত কলেজ প্রাঙ্গণের একটি কোণে ভোলা জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল লাইব্রেরি ও জাদুঘর নির্মাণ করা হয়। এছাড়া মোস্তফা কামালের নামানুসারে গ্রামের নাম মৌটুপীর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে কামালনগর৷