Type to search

বিদ্যুৎ-গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি, দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতি ও সার সঙ্কটসহ কৃষি উপকরণের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট অভয়নগর থানা কমিটির বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত

অভয়নগর

বিদ্যুৎ-গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি, দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতি ও সার সঙ্কটসহ কৃষি উপকরণের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট অভয়নগর থানা কমিটির বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত

বিদ্যুৎ-গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি, দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতি ও সার সঙ্কটসহ কৃষি উপকরণের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এবং সারসহ প্রয়োজনীয় উপকরণ সুল‌ভে সরবরাহ নিশ্চিত করার দাবীতে জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট অভয়নগর থানা কমিটির বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত।
আজ ২৬ ফেব্রুয়ারি’২৩ রবিবার বিদ্যুৎ-গ্যাস-গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি, দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতি ও সার সঙ্কটসহ কৃষি উপকরণের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এবং সারসহ প্রয়োজনীয় উপকরণ সুল‌ভে সরবরাহ নিশ্চিত করার দাবীতে জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের  কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সংগঠনের অভয়নগর থানা কমিটির উদ্যোগে বিকাল ৫ টায় এক বিক্ষোভ মিছিল নওয়াপাড়া পুরাতন বাস স্ট্যান্ড থেকে শুরু হয়ে বাজারের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে নওয়াপাড়া নৌ-যান কার্যালয়ের সামনে এক পথসভা থানা সভাপতি মনিরুল ইসলাম বাবুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের যশোর জেলা ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আশুতোষ বিশ্বাস, বাংলাদেশ কৃষক সংগ্রাম সমিতি থানা সাধারণ সম্পাদক কৃষকনেতা সেলিম জমাদ্দার, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ থানা সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হুসাইন প্রমুখ। সভাটি পরিচালনা করেন সংগঠনের থানা সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, সাম্রাজ্যবাদী লগ্নিপুঁজির সংস্থা আইএমএফ’র নির্দেশে সরকার গ্যাস-বিদ্যুৎসহ সকল জ্বালানীর দাম বৃদ্ধি করায় জাতীয় অর্থনীতি যেমন বিপর্যস্ত হচ্ছে, তেমনি সকল নিত্যপণ্য- চাল, ডাল, তেল ইত্যাদির অগ্নিমূল্যের কারণে সংখ্যারগরিষ্ঠ মানুষের জীবনের সংকট বাড়ছে। একইসাথে তীব্র শোষণ ও লুটপাটের ফলে ধনী-দরিদ্রের বৈষম্যও দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। অথচ সরকার প্রকৃত সত্যকে আড়াল করতে সাম্রাজ্যবাদী লগ্নিপুঁজির বিনিয়োগ, উৎপাদন, বাজারজাতকরণের জন্য সামগ্রিক অবকাঠামোগত অংশকে উন্নয়ন হিসেবে তুলে ধরছে। লগ্নিপুঁজির স‌র্বোচ্চ মুনাফার স্বার্থে দেশে অবাধ লুটপাট চলছে। পুঁজিবাদী-সাম্রাজ্যবাদী বিশ্বব্যবস্থা ও নয়া-ঔপনিবেশিক আধা-সামন্তবাদী আর্থসামাজিক ব্যবস্থার নিজস্ব সংকটকে আড়াল করতে করোনা ও ইউক্রেনে সংগঠিত যুদ্ধকে সামনে আনা হচ্ছে। কিন্তু প্রকৃত সত্য হলো পুঁজিবাদী-সাম্রাজ্যবাদী বিশ্বব্যবস্হার অনিবার্য পরিণতির ফলে ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসের মাঝা মাঝি সময় থেকেই চলমান অর্থনৈতিক মন্দার ফলেই দিনে দিনে আরো কঠিন বিপর্যয় সামনে আসছে।
বর্তমান বিশ্ববাস্তবতা ও ভূ-রাজনী‌তিগত গুরুত্বের কারণে বাংলাদেশকে নিয়ে আন্তঃসাম্রাজ্যবাদী দ্বন্দ্ব তীব্র হওয়ায় সাম্রাজ্যবাদী শক্তিসমূহের আশীর্বাদ পেতে তাদের দালালদের মধ্যেও নগ্ন প্রতিযোগিতা ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছে। তাই আজ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নয়া-ঔপনিবেশিক স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থা উচ্ছেদ করতে গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্য জরুরি বলে নেতৃবৃন্দ সমাবেশে বলেন। সাম্রাজ্যবাদের এক দালালকে হটিয়ে আরেক দালাল নয়, এক সাম্রাজ্যবাদের পরিবর্তে আরেক সাম্রাজ্যবাদ নয়। সামগ্রিক মুক্তির লক্ষ্যে সকল সাম্রাজ্যবাদ ও তার দালালদের বিরুদ্ধে শ্রমিক কৃষক জনগণের রাষ্ট্র, সরকার ও সংবিধান প্রতিষ্ঠার লড়াই বেগবান করার আহবান জানান সমাবেশের সংগঠনের যশোর জেলা ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আশুতোষ বিশ্বাস।