Type to search

বিএনপি-জামায়াত আবারও দেশকে সন্ত্রাসের অভয়ারণ্যে পরিণত করতে চায়: এমপি নাবিল

যশোর

বিএনপি-জামায়াত আবারও দেশকে সন্ত্রাসের অভয়ারণ্যে পরিণত করতে চায়: এমপি নাবিল

যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ বলেছেন, ‌‘আপনারা এখন বিএনপি-জামায়াতের মিষ্টি কথায় অতীতের দুর্নীতি-দুঃশাসনের কথা ভুলে যাবেন না। সময়ের পরিবর্তন হলেও বিএনপি-জামায়াতের চরিত্র বদলায়নি। তারা দেশকে আবারও সন্ত্রাসের অভয়ারণ্যে পরিণত করতে চায়।’

রবিবার (২০ নভেম্বর) বিকালে যশোর শহরের ঘোপ ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ আয়োজিত কর্মী-সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। আগামী ২৪ নভেম্বর যশোরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক জনসভা সফল করতে মাহমুদুর রহমান বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে এই কর্মী-সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

সমাবেশে কাজী নাবিল আহমেদ বলেন, ‘বিএনপির কিছু নেতা সারা দেশে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, সঙ্গে তাদের নেতাকর্মীদের নিয়ে যাচ্ছেন। তারা জনসভায় মিষ্টি মিষ্টি কথা বলছেন। কিন্তু ২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের দুর্নীতি-দুঃশাসনের কথা দেশের মানুষ ভুলে যায়নি।’

তাদের শাসনামলে দেশ সন্ত্রাসের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছিল উল্লেখ করে এমপি কাজী নাবিল বলেন, ‘সে সময়ে সারা দেশে তারা সিরিজ বোমা হামলা চালিয়েছিল, বিচারককে হত্যা করেছিল ও ২১ আগস্ট বোমা হামলা চালিয়েছিল। সে সময়ে তাদের স্লোগান ছিল—আমরা সবাই তালেবান, বাংলা হবে আফগান। বিএনপি-জামায়াতের শাসনকালে দেশে বাংলাভাইয়ের জন্ম হয়েছিল। শায়খ আবদুর রহমানসহ বিভিন্ন জঙ্গিবাদী নেতার আবির্ভাব হয়েছিল। সবাই ভাবতো, বাংলাদেশকে আফগানিস্তান হিসেবে তৈরি করা হচ্ছে। কিন্তু এরপর জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের শাসনভার নিয়ে বাংলাদেশ থেকে সন্ত্রাস নির্মূল করতে সক্ষম হন।’

বিএনপি-জামায়াত থেকে সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের মিষ্টি কথায় অতীতের কথা ভুলবো না। মাঠে-ময়দানে, ভোটকেন্দ্রে সর্বত্র জনগণের সমর্থন নিয়ে তাদের প্রতিহত করবো।’

যশোরসহ সারা দেশের উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরে সংসদ সদস্য নাবিল আহমেদ বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সাল থেকে উন্নয়নের যাত্রা শুরু করেন। আজ পর্যন্ত তিনি দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে নানা মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন। করোনাকালে তিনি যে দক্ষতার স্বাক্ষর রেখেছেন, তা বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত। সে সময়ে তিনি সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘবে খাদ্য সহায়তার পাশাপাশি নগদ টাকা দিয়েছেন। এই সরকারের সময়কালে সামাজিক কল্যাণমূলক নানা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। যেমন বিধবা ভাতা, দরিদ্র ভাতা, ভিজিএফ, দুস্থ ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতাসহ বিভিন্ন ভাতা দেওয়া হচ্ছে।’

আগামী ২৪ নভেম্বর যশোর শামসুল হুদা স্টেডিয়ামে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় জনসভায় সবাইকে উপস্থিত থাকার আহ্বান জানান এমপি নাবিল আহমেদ।

যশোর-৩

 

কর্মী-সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি বদরুল আলম দোদুল। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মেহেদি হাসান মিন্টু, মহিলা আওয়ামী লীগের জেলা সভাপতি লাইজু জামান, জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি মঞ্জুন্নাহার নাজনীন সোনালী, আওয়ামী লীগের সহ-প্রচার সম্পাদক লুৎফুল কবীর বিজু, যশোর পৌরসভার প্যানেল মেয়র শেখ মোকছিমুল বারী অপু, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বিপুল, যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মঈন উদ্দীন মিঠু ও সদর উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মাহমুদুল হাসান মিলু প্রমুখ।

এর আগে জনসভা সফলের লক্ষ্যে জেলা শ্রমিক লীগের বিশাল মিছিলে অংশ নেন কাজী নাবিল আহমেদ। মিছিলে আরও অংশ নিয়েছেন পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার গণী খান পলাশ, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী, শ্রমিক লীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) জবেদ আলী, সেক্রেটারি নাছির উদ্দীন ও পরিবহন শ্রমিক নেতা আজিজুল আলম মিন্টু প্রমুখ।