বাঘারপাড়ার স্কুল শিক্ষক সহ তিন জনের বিরুদ্ধে যৌতুক মামলা
যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার বাকড়ী বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গনিত শিক্ষক সমীর কুমার বিশ্বাস সহ তিন জনের বিরুদ্ধে যশোরের বিজ্ঞ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বাঘারপাড়া আমলী আদালতে যৌতুকের অভিযোগ তুলে গত বুধবার মামলা করেছেন শিক্ষক সমীর কুমার বিশ্বাসের স্ত্রী মিতালী রানী গোলদার। শিক্ষক সমীর কুমার বিশ্বাস যশোর সদর উপজেলার বাগডাঙ্গা এলাকার মৃত বুদ্ধদেব বিশ্বাসের পুত্র। মামলার অন্য দু’জন
আসামী একই জেলার বাঘারপাড়া উপজেলার বোয়ালিয়া এলাকার ইন্দ্রা বিশ্বাস ও তার পিতা
মৃনাল বিস্বাস।
মামলার বর্ননায় জানা যায়, দশ বছর পুর্বে বাঘারপাড়া কোমলাপুর এলাকার স্বপন কুমার গোলদারের কন্যা মিতালী রানী গোলদারের সাথে যশোর সদর উপজেলার বাগডাঙ্গা এলাকার মৃত বুদ্ধদেব বিশ্বাসের পুত্র সমীর কুমার বিশ্বাস বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। তাদের ঘরে ঐশী বিশ্বাস(৯) ও উর্মি বিশ্বাস (৭) নামের দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। যৌতুক লোভী বিবাদীগন বাদীর (মিতালী রানী) কাছে ১০ লক্ষ টাকা দাবি করলে বাদী দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এসময় ওই শিক্ষক মামলার অন্যান্য আসামীদের কুপরামর্শে তার স্ত্রীর উপর শারীরিক ও মানুসিক অত্যাচার শুরু করে।এক পর্যায়ে শিক্ষক সমীর কুমার বিশ্বাস স্ত্রী সন্তান কে না জানিয়ে দ্বিতীয় বিবাহ করছে এমন সংবাদ পেয়ে স্ত্রী মিতালী রানী তার বিবাহে বাঁধা প্রদান করেন। এবং দ্বিতীয় বিবাহের কারণ জানতে চাইলে শিক্ষক সমীর কুমার জানান দশ লক্ষ টাকা না পেয়ে দ্বিতীয় স্ত্রীর কাছ থেকে যৌতুক নিয়ে ২য় বিবাহ করছি। জানাগেছে, শিক্ষক সমীরের দ্বিতীয় স্ত্রী তার কর্মস্থলেরই শিক্ষার্থী।
এ বিষয়ে মিতালী রানী গোলদার জানায়, শিক্ষক সমীর কুমার বিশ্বাস একজন যৌতুক লোভী মানুষ। তার মত একজন মানুষ শিক্ষকতার মত মহান পেশায় বেমানান।
শিক্ষক সমীর কুমার বিশ্বাস বলেন, মিতালী রানী আমাকে ডিভোর্স দিয়েছে আমি তার সাথে সংসার করতে বহুচেষ্টা করেছি এ বিষয়ে কয়েকবার স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বসা বসি করেছে। কিন্তু মিতালী রানী আমার সাথে সংসার করতে রাজি নয়। তিনি আরও জানান, মিতালী রানীর দায়ের কৃত মামলাটি সম্পুর্ন মিথ্যা। মামলাটি সে আমাকে হয়রানি করার উদ্দেশ্যে করেছে।