Type to search

বন্ধ করার পরও গোপনে হচ্ছে বাল্য বিয়ে

জাতীয়

বন্ধ করার পরও গোপনে হচ্ছে বাল্য বিয়ে

১৮ বছরের আগে বাবা-মা কিংবা অভিভাবক বিয়ে দিতে চাইলে তারা আপত্তি করার পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসনকে জানাবে। পাশাপাশি অভিভাবক ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সচেতন করতে হবে। গোপনে কেউ বাল্যবিবাহ দিলে কিংবা আয়োজন করলে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা নিতে হবে।

শুধু প্রশাসন কিংবা বেসরকারি সংস্থা দিয়ে বাল্যবিবাহ বন্ধ করা কঠিন বিষয়। তিনি মনে করেন, সপ্তম থেকে দশম শ্রেণির ছাত্রীরা বেশি বাল্যবিবাহের শিকার হচ্ছে। সবার আগে প্রতিদিন শ্রেণিকক্ষে বাল্যবিবাহের কুফল সম্পর্কে ছাত্রীদের সচেতন করতে হবে।

প্রেরণা নারী উন্নয়ন সংগঠন এর নির্বাহী পরিচালক শম্পা গোস্বামী

বাল্যবিবাহ বন্ধের পর বিয়ে হয়ে যাওয়া মেয়েদের অভিভাবকেরা দাবি করেছেন, তাঁদের অমতে ও অজান্তে মেয়েরা প্রেম করে বিয়ে করেছে। কেউ কেউ বলছেন, তাঁরা দরিদ্র, সামাজিক নিরাপত্তার কথা ভেবে ভালো পাত্র পাওয়ায় মেয়েকে বিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছেন।

উপজেলার নগরঘাটা ইউনিয়নের আক্তারুল ইসলাম নামের এক অভিভাবক জানান, গত বছরের নভেম্বরে তাঁরা মেয়ের বিয়ের আয়োজন করেন। কিন্তু মেয়ের বয়স ১৮ বছর না হওয়ায় উপজেলা মহিলা অধিদপ্তরের লোকজন এসে বিয়ে বন্ধ করে দেয়। ছেলেটি ভালো মনে করে বিয়ে বন্ধের দুই মাস পর মেয়েকে সেই ছেলের সঙ্গেই বিয়ে দেন। কিন্তু দুই মাস যেতে না–যেতেই যৌতুকের দাবিতে মেয়ের ওপর নির্যাতনের খড়্গ নেমে আসে। একপর্যায়ে তাঁর মেয়েকে তালাক দেওয়া হয়। ওই অভিভাবক আরও জানান, তালাক হওয়ার পর তাঁর মেয়েকে তিনি স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে ভর্তি করে দিয়েছেন।