Type to search

বছরে সাড়ে ১১ শতাংশ হারে বাড়ছে ফল উৎপাদন

কৃষি

বছরে সাড়ে ১১ শতাংশ হারে বাড়ছে ফল উৎপাদন

ফলের উৎপাদন বৃদ্ধিতে বিশ্বে সর্বোচ্চ রেকর্ড করেছে বাংলাদেশ। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা-এফএও এর হিসাবে বছরে দেশে সাড়ে ১১ শতাংশ হারে বাড়ছে ফল উৎপাদন।

আগামী ১৬ জুন থেকে জাতীয় ফল উৎসব নিয়ে সোমবার সকালে সচিবালয়ে এক ব্রিফিং এ তথ্য জানান কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক।

তিনি বলেন, গত কয়েক বছরে বাংলাদেশ ফল উৎপাদনে বিশ্বে সফলতার উদাহরণ হয়ে উঠতে পেরেছে। ফল উৎপাদনে শীর্ষ ১০ দেশের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) হিসাবে বছরে সাড়ে ১১ শতাংশ হারে বাড়ছে ফল উৎপাদন।

মন্ত্রী আরো বলেন, কাঁঠাল উৎপাদনে এখন বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয়, আমে সপ্তম, পেয়ারা উৎপাদনে অষ্টম আর পেঁপে উৎপাদনে চতুর্দশ অবস্থানে রয়েছে।
নিত্যনতুন ফল চাষের দিক থেকেও বাংলাদেশ সফলতা পেয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ২০ বছর আগে আম আর কাঁঠাল ছিল দেশের প্রধান ফল। এখন বাংলাদেশে ৭২ প্রজাতির ফলের চাষ হচ্ছে। যা আগে ৫৬ প্রজাতির মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল।
ফল উৎপাদন বাড়ায় বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু দানা জাতীয় শস্য গ্রহণের পরিমাণ কমেছে এবং মাথাপিছু ফল গ্রহণের পরিমাণ বেড়েছে। ২০০৬ সালে মাথাপিছু ফল গ্রহণের হার যেখানে ৫৫ গ্রাম ছিল, তা ২০১৮ সালে ৮৫ গ্রাম হয়েছে।
কৃষিমন্ত্রী আরো বলেন, ২০০৮-০৯ সালে দেশে ফলের উৎপাদন ছিল প্রায় ১ কোটি টন। আর এখন প্রায় ১ কোটি ২২ লাখ টন ফলের উৎপাদন হচ্ছে। গত ১২ বছরে ফলের উৎপাদন বেড়েছে ২২ শতাংশ।
বর্তমান সরকার এখন সকল মানুষের জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিসমৃদ্ধ খাদ্য নিশ্চিত করতে কাজ করছে উল্লেখ করে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, মানুষের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় পরিমিত পরিমাণে ফল দেশের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। সেজন্য ফল উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি পরিবেশসম্মত নিরাপদ ফল উৎপাদনেও গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।
রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট চত্বরে ১৬ থেকে ১৮ জুন প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ফলের উৎসব বসবে। মেলার এবারের প্রতিপাদ্য ‘বছরব্যাপী ফল চাষে, অর্থ পুষ্টি দুই-ই আসে’।