ফুলে ফুলে রঙিন বান্দরবান

ডানা মেলেছে কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া, সোনালু, জারুলসহ নানা ফুল।কিন্তু এবার যেন মলিন ফুলের সৌন্দর্য। কারণ যাদের জন্য প্রকৃতির এই রূপ সেই মানবজাতি রয়েছে চরম দুর্যোগে। তবে প্রকৃতি তার রঙ্গিন আভা দিয়ে করোনা ম্লান করে দেবে বিশ্বাস সবুজপ্রেমীদের।
বান্দরবানের বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী ও লেখক মো. আমিনুর রহমান প্রামানিক বলেন, বান্দরবানের চারিদিকে প্রকৃতি এখন নতুন সাজে সেজেছে। কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া, সোনালু ফুলে ছেয়ে গেছে বান্দরবান শহরের বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্র ও সড়কের দুই পাশ। প্রকৃতির এই নতুন সাজ আমাদের মনে এনে দিচ্ছে প্রশান্তি।
সংগীত শিল্পী বীনাপানি চক্রবর্ত্তী বলেন, করোনার এই সময়ে যখন আমাদের মনে বিষণ্নতা বিরাজ করছে ঠিক তখন বান্দরবানের প্রকৃতিতে ফুটেছে নানা ফুল, আর এই ফুলের শোভায় আমরা সুরভিত হচ্ছি।
এদিকে ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য সুবাতাস নিশ্চিত করা আর পর্যাপ্ত অক্সিজেন সৃষ্টির পাশাপাশি পরিকল্পিতভাবে ফলজ ও বনজ চারা লাগানোর আহ্বান জানান পরিবেশ প্রেমীরা।
বান্দরবানের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রকৃতি প্রেমিক মো. জাফর বলেন, বান্দরবানের ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য সুবাতাস নিশ্চিত করা আর পর্যাপ্ত অক্সিজেনের সৃষ্টির জন্য পরিকল্পিতভাবে ফলজ ও বনজ চারার পাশাপাশি ফুলের গাছ লাগাতে হবে এতে প্রকৃতির রূপ ও সৌন্দর্য উপভোগের পাশাপাশি আমাদের অক্সিজেনের ঘাটতি অনেকটাই কমে আসবে।
বনবিভাগের কর্মকর্তারা জানান, পর্যটন নগরী বান্দরবানকে আরো সুন্দর করে সাজাতে ফলজ, বনজ চারার পাশাপাশি আরো ফুলের চারা রোপণ করা হবে। এতে সৌন্দর্য বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রকৃতির শ্রী অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে।
বান্দরবানের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. ফরিদ মিয়া বলেন, বান্দরবানে বৃক্ষরোপণ বৃদ্ধির জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমরা বান্দরবানের প্রধান সড়কে প্রচুর গাছ লাগিয়েছি সেগুলো আজ বড় হয়ে ফুলে ফুলে ভরপুর হচ্ছে। বনবিভাগের পাশাপাশি প্রত্যেক জনসাধারণকে নিজ নিজ দায়িত্বে আরো গাছ লাগিয়ে অক্সিজেনের পরিমাণ বাড়াতে হবে।
বন কর্মকর্তা মো. ফরিদ মিয়া আরো বলেন, এ বছর বান্দরবান বনবিভাগ থেকে বিনামূল্যে বিভিন্নস্থানে বিতরণের জন্য ৬২ হাজার ৫০০ ফলজ, বনজ ও ফুলের চারা উৎপাদন কার্যক্রম চলমান রয়েছে এবং বর্ষা শুরু হলেই আমরা চারাগুলো বিতরণ শুরু করবো। সূত্র, বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম