Type to search

পরিবহনের ব্যবস্থা না রেখেই কারখানা খোলা!

অন্যান্য

পরিবহনের ব্যবস্থা না রেখেই কারখানা খোলা!

নগরীতে ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় কিছু দোকানপাট ছাড়া সবধরনের দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। তবে পাড়া মহল্লার অলিগলির মুখে কর্মহীন মানুষকে বসে আড্ডা দিতে দেখা গেছে। পুলিশের টহল টিমের গাড়ি আসলে থাকলে তারা পালিয়ে যাচ্ছেন। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় এমন চিত্র দেখা গেছে।

সকালে খিলগাঁও রেলগেট এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, পুলিশের তল্লাশি অব্যাহত রয়েছে। তাদের দায়িত্বপালন রত অবস্থায় রিকশাসহ বিভিন্ন যানবাহন যোগে মানুষ চলাচল করছেন। তবে এসময় অকারণে বাসা থেকে বের না হতে পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকিংও করতে দেখা গেছে।

চৌধুরী পাড়ার একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন আসমা বেগম। সকালে কারখানায় যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হয়েছেন তিনি। তবে কারখানা থেকে তাদের যাতায়াতের জন্য কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি। আসমা বেগম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মালিক কারখানা খোলা রেখে যাদি কর্মীদের যাতায়াতের ব্যবস্থা না করেন তাহলে কর্মীরা কীভাবে কাজে যোগ দিবে? এখন লকডাউনেও যদি কাজে যোগ না দেই তাহলে চাকরি থাকবে না। সেকারণে রিকশা বা ভ্যান যেটাই পাই তাতে করে কারখানায় তো যেতে হবে।’

বিজয় সরণী মোড়ে রয়েছে পুলিশের চেকপোস্ট। সড়কে বের হওয়ার কারণ জানতে চাইতে দেখা গেছে পুলিশকে। তবে অনেকেই খোঁড়া যুক্তি দিয়ে পুলিশের জেরা থেকে রেহায় পাওয়ার চেষ্টা করতে দেখা গেছে। একই চিত্র দেখা গেছে রাজারবাগ, ফকিরাপুল, ‍গুলিস্তান, পল্টন, কাকরাইল, শাহবাগ, মগবাজার, দৈনিক বাংলা, কাওরানবাজার এলাকায়।

ফকিরাপুলে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য মামুনুর রশিদ বলেন, ‘মানুষের করোনার কোনও ভয় নেই। সরকার যা করছে তা তো মানুষের ভালোর জন্যই করছে। আমরা দায়িত্ব পালন করছি। অনেকেই খোঁড়া যক্তি দিয়ে আমাদেরকে বাসা থেকে বের হওয়ার কারণ বোঝানোর চেষ্টা করেন।’ সূত্র,  বাংলা ট্রিবিউন