নড়াইলে ডেঙ্গু জ¦রে পান ব্যবসায়ীর মৃত্যু॥ হাসপাতালে ৬জন চিকিৎসাধীন এ মৌসুমে ৫৮জন সনাক্ত
নড়াইল প্রতিনিধি
ডেঙ্গু জ¦রে নড়াইল শহরের রূপগঞ্জ বাজারের এক পান ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে।
তার নাম হিরক মালাকার (৪০)। সে সদর উপজেলার মুলিয়া ইউনিয়নের বাঁশভিটা
গ্রামের মঙ্গল চন্দ্র মালাকারের পূত্র। শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকলে
হিরক খুলনা গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
জানা গেছে, গত কয়েকদিনে বাঁশভিটা গ্রামের ৬জন ডেঙ্গু জ¦রে আক্রান্ত হয়ে
হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এছাড়া বর্তমানে নড়াইল ও লোহাগড়া হাসপাতালে
৬জন ডেঙ্গু জ¦রে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ মৌসুমে এ পর্যন্ত ৫৮জন
রোগি সনাক্ত হয়েছে।
নড়াইল সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, হিরক মালাকার শুক্রবার (১৬
সেপ্টেম্বর) সকালে ডেঙ্গু উপসর্গে সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়। পরে ডেঙ্গু
সনাক্ত হলে ওই দিনই তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার করা হয়।
সদরের মুলিয়া ইউনিয়নের সাবেক মেম্বর ও হিরক মালাকারের চাচাতো ভাই পলাশ
মালাকার জানান, শনিবার তার ভাই খুলনা গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে
চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। তাদের গ্রামে ৬জন ডেঙ্গু জ¦রে আক্রান্ত
হয়েছে। এই ৬জনই নড়াইল শহরের রূপগঞ্জ বাজারে ব্যবসা করেন।
নড়াইল সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত জুন থেকে এ পর্যন্ত জেলার
৩ উপজেলায় ৫৮জন রোগি সনাক্ত হয়েছে। বর্তমানে নড়াইল সদর হাসপাতালে ৪জন ও
লোহাগড়া হাসপাতালে ২জন ডেঙ্গু ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে শুধু সেপ্টেম্বর
মাসেই ভর্তি হয়েছে ৩০জন।
এদিকে নড়াইল শহরের ব্যবসায়ীরা জানান, বর্তমানে প্রতিদিন পাইকারী
দোকানগুলো থেকে কমপক্ষে ১লাখের বেশী প্লাষ্টিক ও কাগজের ওয়ান টাইম চায়ের
কাপ বিক্রি হচ্ছে। করোনা প্রাদুর্ভাবে জেলার সর্বত্র চা-এর দোকানগুলোতে
চালু হওয়া ওয়ান টাইম কাপ পরিত্যক্ত অবস্থায় যত্রতত্র পড়ে থাকায় এসবের
মধ্যে বৃষ্টির পানি ভরে ডেঙ্গু রোগের বাড়তি ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। এছাড়া
দীর্ঘদিন শহরের ড্রেন পরিস্কার ও মশক নিধরে স্প্রে ছিটানো হয়না। ডেঙ্গু
প্রতিরোধে এখনও তেমন কোনো প্রস্তুতি গ্রহন করেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
এ প্রসঙ্গে নড়াইল পৌর মেয়র আনজুমান আরা বলেন, মশার লার্ভা ধ্বংসে
স্প্রেসহ সচেতনতামূলক প্রচারের ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে নড়াইলের সিভিল সার্জন ডা.নাসিমা আক্তার বলেন, শুনেছি গত
শনিবার এক জন ডেঙ্গু জ¦রে মারা গিয়েছে। নড়াইল জেলার বাইরে মারা যাওয়ায়
অফিসিয়ালি এ তথ্য এখনও আমরা পাইনি। ডেঙ্গু প্রতিরোধে রোববার (১৮
সেপ্টেম্বর) জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক)
মোঃ ফকরুল হাসানের সভাপতিত্বে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় মশার লার্ভা
ধ্বংসের জন্য প্রত্যেক উপজেলা চেয়ারম্যান,পৌর মেয়র, ইউনিয়ন পরিষদসহ
সরকারি/বে-সরকারি প্রতিষ্ঠান, বাড়ির আঙ্গিনা, রাস্তার পাশের ঝোপ-ঝাড়,
জলাশয়, ড্রেন, হাট-বাজার প্রভৃতি স্থানে ডেঙ্গু প্রতিরোধে পরিস্কার
পরিচ্ছন্নতা অভিযান সফল করতে প্রচারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সোমবার
(১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার সময় মুলিয়া প্রাইমারী ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে
ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতামূলক প্রচারণা করা হবে।
ডেঙ্গু জ¦রে নড়াইল শহরের রূপগঞ্জ বাজারের এক পান ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে।
তার নাম হিরক মালাকার (৪০)। সে সদর উপজেলার মুলিয়া ইউনিয়নের বাঁশভিটা
গ্রামের মঙ্গল চন্দ্র মালাকারের পূত্র। শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকলে
হিরক খুলনা গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
জানা গেছে, গত কয়েকদিনে বাঁশভিটা গ্রামের ৬জন ডেঙ্গু জ¦রে আক্রান্ত হয়ে
হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এছাড়া বর্তমানে নড়াইল ও লোহাগড়া হাসপাতালে
৬জন ডেঙ্গু জ¦রে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ মৌসুমে এ পর্যন্ত ৫৮জন
রোগি সনাক্ত হয়েছে।
নড়াইল সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, হিরক মালাকার শুক্রবার (১৬
সেপ্টেম্বর) সকালে ডেঙ্গু উপসর্গে সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়। পরে ডেঙ্গু
সনাক্ত হলে ওই দিনই তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার করা হয়।
সদরের মুলিয়া ইউনিয়নের সাবেক মেম্বর ও হিরক মালাকারের চাচাতো ভাই পলাশ
মালাকার জানান, শনিবার তার ভাই খুলনা গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে
চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। তাদের গ্রামে ৬জন ডেঙ্গু জ¦রে আক্রান্ত
হয়েছে। এই ৬জনই নড়াইল শহরের রূপগঞ্জ বাজারে ব্যবসা করেন।
নড়াইল সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত জুন থেকে এ পর্যন্ত জেলার
৩ উপজেলায় ৫৮জন রোগি সনাক্ত হয়েছে। বর্তমানে নড়াইল সদর হাসপাতালে ৪জন ও
লোহাগড়া হাসপাতালে ২জন ডেঙ্গু ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে শুধু সেপ্টেম্বর
মাসেই ভর্তি হয়েছে ৩০জন।
এদিকে নড়াইল শহরের ব্যবসায়ীরা জানান, বর্তমানে প্রতিদিন পাইকারী
দোকানগুলো থেকে কমপক্ষে ১লাখের বেশী প্লাষ্টিক ও কাগজের ওয়ান টাইম চায়ের
কাপ বিক্রি হচ্ছে। করোনা প্রাদুর্ভাবে জেলার সর্বত্র চা-এর দোকানগুলোতে
চালু হওয়া ওয়ান টাইম কাপ পরিত্যক্ত অবস্থায় যত্রতত্র পড়ে থাকায় এসবের
মধ্যে বৃষ্টির পানি ভরে ডেঙ্গু রোগের বাড়তি ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। এছাড়া
দীর্ঘদিন শহরের ড্রেন পরিস্কার ও মশক নিধরে স্প্রে ছিটানো হয়না। ডেঙ্গু
প্রতিরোধে এখনও তেমন কোনো প্রস্তুতি গ্রহন করেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
এ প্রসঙ্গে নড়াইল পৌর মেয়র আনজুমান আরা বলেন, মশার লার্ভা ধ্বংসে
স্প্রেসহ সচেতনতামূলক প্রচারের ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে নড়াইলের সিভিল সার্জন ডা.নাসিমা আক্তার বলেন, শুনেছি গত
শনিবার এক জন ডেঙ্গু জ¦রে মারা গিয়েছে। নড়াইল জেলার বাইরে মারা যাওয়ায়
অফিসিয়ালি এ তথ্য এখনও আমরা পাইনি। ডেঙ্গু প্রতিরোধে রোববার (১৮
সেপ্টেম্বর) জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক)
মোঃ ফকরুল হাসানের সভাপতিত্বে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় মশার লার্ভা
ধ্বংসের জন্য প্রত্যেক উপজেলা চেয়ারম্যান,পৌর মেয়র, ইউনিয়ন পরিষদসহ
সরকারি/বে-সরকারি প্রতিষ্ঠান, বাড়ির আঙ্গিনা, রাস্তার পাশের ঝোপ-ঝাড়,
জলাশয়, ড্রেন, হাট-বাজার প্রভৃতি স্থানে ডেঙ্গু প্রতিরোধে পরিস্কার
পরিচ্ছন্নতা অভিযান সফল করতে প্রচারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সোমবার
(১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার সময় মুলিয়া প্রাইমারী ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে
ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতামূলক প্রচারণা করা হবে।